বিলাসবহুল হোটেলে ঢুকে পড়ল কুমির, পৌঁছল অতিথির দরজার সামনে
হোটেলে অনেকেই থাকতে আসেন। এটা মোটেল। হোটেলের সব সুবিধাই থাকে এখানে। তবে অতিরিক্ত হল গাড়ি রাখা। তেমনই এক মোটেলে অতিথির দরজায় পৌঁছে গেল এক কুমির।

হোটেলে যেমন মানুষ থাকতে আসেন, তেমনই মোটেলে। মোটেলে সুবিধা হল গাড়ি নিয়ে এলে সেই গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় মোটেলের যে ঘরে থাকছেন তার কাছে। সেভাবেই গাড়ি একাধিক তলা ওঠার বন্দোবস্ত থাকে মোটেলে।
এমনই এক মোটেলে আচমকাই থরহরি কম্প অবস্থা। কারণ সকলের নজর এড়িয়ে একটি কুমির সোজা ঢুকে পড়ে মোটেলে। তারপর হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যায় একটি করিডরে। এই করিডর জুড়ে সারি দিয়ে ঘর।
মোটেলে থাকতে আসা অতিথিরা এই ঘরগুলিতে থাকেন। তখনও ছিলেন। করিডরের একটা ধার ধরে একটি দরজার পাশে একটি অতিকায় চেহারার কুমির গিয়ে বসে পড়ে। আর তাতেই ঘুম ছুটে যায় হোটেল কর্মীদের। খবর যায় পুলিশে।
পশু সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞেরা হাজির হন মোটেলে। তারপর যে ঘরের সামনে কুমিরটি ঘাপটি মেরে বসেছিল সেখানে পৌঁছে শুরু হয় তাকে পাকড়াও করার কাজ। এদিকে মোটেলে কুমির রয়েছে জেনে ঘরেই আটকে পড়েন অতিথিরা।
কেউই বাইরে বার হওয়ার ঝুঁকি নেননি। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টার পর কুমিরটিকে অবশেষে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। নিউ ইয়র্ক থেকে উত্তর ক্যারোলিনার চিড়িয়াখানায় কুমিরটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথে সে পালিয়ে যায়।
তারপর গিয়ে ঢোকে ভার্জিনিয়ার ওই মোটেলে। অবশেষে তাকে ধরতে পেরে স্বস্তি পেয়েছেন পশু সুরক্ষা কর্মীরা। স্বস্তি পেয়েছেন ওই মোটেলের আধিকারিক থেকে কর্মী থেকে অতিথি সকলেই।