Lifestyle

ঝাঁটাকে কেন্দ্র করে লাফালাফি ছাড়া এখানে বিয়ে হয়না

ঝাঁটা বস্তুটি সাফ সাফাইয়ে একান্ত প্রয়োজনীয় হলেও তা কোনও শুভকাজে খুব একটা লাগেনা। বরং তার ছোঁয়া থেকে দূরেই থাকা হয়। কিন্তু এখানে ঝাঁটা ছাড়া বিয়েই অসম্পূর্ণ।

বিয়েকে পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষই তাঁদের রীতিনীতি সনাতনি প্রথা মেনে সম্পূর্ণ করেন। সই সাবুদ করে রেজিস্টার বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিলেও এখনও সর্বত্রই পুরনো রীতি মেনে বিয়ে না হলে যেন বিয়েই হল না!

বিয়ে অত্যন্ত শুভকাজ বলেই সর্বত্র মনে করা হয়। তাই বিয়ের সঙ্গে ধর্মীয় রীতিও জড়িয়ে যায়। আর ঝাঁটা এমন একটি জিনিস যার সঙ্গে শুভকাজের খুব একটা যোগাযোগ নেই।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কিন্তু আমেরিকার একদম দক্ষিণ প্রান্তে বসবাসকারী মানুষজন তাঁদের বিয়েতে ঝাঁটা রাখবেনই। ঝাঁটা ছাড়া বিয়ে হল, এটা অনেকেই মনে করেননা। তাও আবার তা কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি চালু রয়েছে।

এখানে বিয়ের অন্য রীতি পালনের পর স্বামীস্ত্রীকে একসঙ্গে একটি ঝাঁটার সামনে এসে দাঁড়াতে হয়। তারপর ২ জনকে একসঙ্গে সেই ঝাঁটা লাফিয়ে টপকে যেতে হয়।

এটা এখানকার মানুষের বিশ্বাস যে নবদম্পতি এই ঝাঁটা লাফিয়ে টপকেই এক নতুন জীবনে প্রবেশ করেন। যদিও এখন নব্য প্রজন্ম এই প্রথাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না।

ফলে অনেকে বিয়েতে এখন এই প্রথা পালনও করছেননা। তবে তার মানে এটা হারিয়ে গেছে এমনটা নয়। অনেকেই আবার এই প্রাচীন প্রথাকে তাঁদের বিয়ের অঙ্গ হিসাবেই নিয়ম মেনে পালন করেন।

সব জায়গাতেই প্রাচীন রীতিনীতি নতুন প্রজন্ম ছেঁটে ফেলায় বিশ্বাসী। কিন্তু তারপরেও প্রথা থেকে যায়। কিছু মানুষ তাকে ঠিকই আঁকড়ে রাখেন। ঝাঁটা টপকানোর প্রথা আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে এভাবেই দিব্যি বেঁচে আছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *