Health

মার্কিন মুলুকে শিশুদের মধ্যে হুহু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ হুহু করে ছড়াচ্ছে। দিনে ১ লক্ষ নতুন সংক্রমণের নজিরও গড়েছে আমেরিকা। সেখানে ছোটদের মধ্যেও হুহু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।

নিউ ইয়র্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনা বিধ্বস্ত দেশ এখনও পর্যন্ত আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভারতে মোট সংক্রমিত যেখানে প্রায় ৮৯ লক্ষ, সেখানে আমেরিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লক্ষেরও ওপর। ফলে ফারাক অনেকটাই।

আমেরিকায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা এখন নতুন উচ্চতা নিচ্ছে। দিনে ১ লক্ষ পার করার নজিরও গড়েছে তারা। সেই মার্কিন মুলুকে আরও এক বড় চিন্তা শিশুদের মধ্যে করোনার প্রভাব। শিশুদের মধ্যে করোনার প্রভাব ক্রমশ হুহু করে বাড়ছে। যা সকলের জন্যই চিন্তার।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যবে থেকে আমেরিকায় করোনা ছড়াতে শুরু করেছে তবে থেকে এদিন পর্যন্ত সেখানে ১০ লক্ষের ওপর শিশু করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছে। এটা বিশ্বের আর কোনও দেশে হয়নি।

আমেরিকায় শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণের প্রবণতা প্রবল। যার মধ্যে গত এক সপ্তাহে আমেরিকায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার শিশু। মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যেই ১ লক্ষ পার করেছে শুধুমাত্র শিশুদের সংক্রমণের সংখ্যা। এটা মার্কিন প্রশাসনকে উদ্বেগে রেখেছে।

প্রতি ১ লক্ষ শিশুর মধ্যে ১ হাজার ৩৮১ জন শিশু করোনার শিকার হচ্ছে মার্কিন মুলুকে। মাঝে স্কুল খুলতে গিয়ে বিপত্তি দেখা দিয়েছিল। তা অবশ্য কয়েক মাস আগের কথা। আমেরিকায় শিশুদের স্কুল খুলে দেওয়ার পর দেখা গিয়েছিল মাত্র ৩ দিনের মধ্যে সেখানে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ অনেক বেড়ে গেছে। যা তখন ট্রাম্প প্রশাসনকে চাপে ফেলে দেয়।

এখন যেভাবে আমেরিকায় শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে রীতিমত চিন্তায় আছেন অভিভাবকরাও। শিশুদের বাড়ি থেকে বার না করার রাস্তাতেই হাঁটছেন তাঁরা।

আরও একটি বিষয় নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। তা হল করোনার দীর্ঘকালীন প্রভাব। করোনা যে দীর্ঘকালীন প্রভাব অনেকের দেহে ফেলছে তা মেনে নিচ্ছেন চিকিৎসকেরাও।

করোনা হয়ে সেরে গেলেও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যাচ্ছে। তা সংক্রমিতের দেহের বিভিন্ন অংশে সুদূরপ্রসারী বিরূপ প্রভাব ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। শিশুদের করোনা সেরে যাওয়ার পরও তাদের দেহে করোনার প্রভাবে কোনও দীর্ঘকালীন সমস্যা তৈরি হচ্ছে কিনা বা হলেও তা কেমন হচ্ছে সে সম্বন্ধে এখনও তথ্য পরিস্কার নয়। তাই এখন এই তথ্য সংগ্রহের কাজেও মন দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *