World

অস্বাভাবিক বড় স্তন, উত্তেজক ছবি পোস্ট করে হুমকির মুখে তরুণী

নিজের কিছু উত্তেজক ছবি পোস্ট করে অর্থ সাহায্যের আশায় নেটিজেনদের দ্বারস্থ হন সুন্দরী তরুণী। ছবি গুলির বেশ কয়েকটিতে স্বল্পবসনা জেসমিনকে পাউট করতে দেখা যাচ্ছে।

বক্ষ যুগলের আকার ছোট করতে চাই, সাহায্য চেয়ে নেট দুনিয়ায় আবেদন জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের জেসমিন আলেকজান্দ্রা ভ্লাসি। সাহায্য পেয়েছেন, তবে তা যৎসামান্য। বরং জুটেছে অনেক বেশি অপমান।

এমনকি জেসমিনকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন কেউ কেউ। তাই নিয়ে এখন বেজায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ২০ বছরের যুবতী জেসমিন।

বক্ষযুগল নারীদেহের সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক বলে মনে করা হয়। কিন্তু সেই বক্ষ যুগলের অস্বাভাবিক আয়তন বয়স বাড়ার সাথে সাথে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ইংল্যান্ডের স্টোনহাউজের বাসিন্দা জেসমিনের কপালে। কারণ, তিনি ‘ক্রনিক রিকারেন্ট মাল্টিফোকাল অস্টিওমাইলাইটিস’ নামের রোগে আক্রান্ত।

এই রোগে স্তনের ভিতরের হাড় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে স্তনের আকার সময়ের সাথে সাথে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে হাড়ের যন্ত্রণা। বিশালাকার স্তনের কারণে তাই এখন হাঁটতে চলতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় জেসমিনকে।

সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন প্রচুর টাকার। কিছু টাকা অবশ্য এরমধ্যে জোগাড়ও করে ফেলেছেন জেসমিন ভ্লাসি।

শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে পেয়েছেন অর্থ সাহায্য। তবে প্রয়োজন আরও অনেক টাকার। সেই টাকা সংগ্রহের জন্যই নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের শরণাপন্ন হন জেসমিন।

নিজের কিছু উত্তেজক ছবি পোস্ট করে অর্থ সাহায্যের আশায় নেটিজেনদের দ্বারস্থ হন সুন্দরী তরুণী। ছবি গুলির বেশ কয়েকটিতে স্বল্পবসনা জেসমিনকে পাউট করতে দেখা যাচ্ছে।

সাহায্য কিছুটা অবশ্য তিনি পেয়েছেন। কিন্তু সাহায্যের বদলে অনেক বেশি পেয়েছেন মানুষের বিদ্রূপ। কেউ ঘুষি মেরে জেসমিনের থুতনি ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন। কেউ আবার ছুরি দিয়ে জেসমিনের বিরাটাকার বক্ষযুগল কেটে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন।

শুধু হুমকিই নয়, অস্বাভাবিক বক্ষ যুগলের জন্য বেশ কয়েকবার রাস্তাঘাটেও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে জেসমিনকে।

এতসব কিছুর পরেও অবশ্য হার মানতে নারাজ জেসমিন। অর্থ সাহায্য পেয়ে অস্ত্রোপচার করার ব্যাপারেও যথেষ্ট আশাবাদী তিনি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *