Health

ব্রিটেনের মানুষদের জন্য টিকা নিয়ে দারুণ খুশির খবর, অপেক্ষায় ভারতবাসী

ব্রিটেনের মানুষদের জন্য খুশির খবর সামনে এল। টিকা দ্রুতই পেতে চলেছেন তাঁরা।

লন্ডন : ভারতে কবে করোনা প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর কদিন আগে আবছা মিলেছে। ভারতের আমজনতার জন্য টিকা হয়তো সামনের বছরের শুরুতে এসে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এটাও ঠিক যে যদি সত্যিই তা হয় তাহলেও ভারতীয়দের সকলকেই তা তখনই দেওয়া সম্ভব হবে না।

এমন কি এটাও শোনা যাচ্ছে যে সকলকেই কী আদৌ দেওয়া সম্ভব হবে? যদিও বা হয় তাহলেও তা সম্পূর্ণ হতে আরও প্রায় ১ বছর লেগে যাবে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তবু টিকা এসেছে এটাও হয়তো এই মুহুর্তে মানুষকে মানসিক দিক দিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্ত করবে। ভারতে যখন এমন পরিস্থিতি তখন ব্রিটেনে কিন্তু ইতিমধ্যেই খুশির খবর সামনে এল।

একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকা আগামী ৩ মাসের মধ্যেই ব্রিটেনের আমজনতাকে দেওয়া শুরু হয়ে যেতে পারে।

অর্থাৎ এই বছরের শেষ বা সামনের বছরের শুরুতেই ব্রিটেনে শুরু হয়ে যাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকাকরণ। তার চেয়েও যেটা আনন্দের ব্রিটেনবাসীর জন্য তা হল মনে করা হচ্ছে পুরো ব্রিটেনবাসীর ইস্টারের আগেই টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে। তার মানে আগামী মার্চের মধ্যেই ব্রিটেনের সকলে করোনা প্রতিষেধক টিকা পেয়ে যাবেন।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে গোটা ব্রিটেন করোনা আতঙ্ক থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়ে যাবে যদি এই ভাবেই সবকিছু এগোয়। করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল প্রথম থেকেই। তাদের টিকার ট্রায়ালও শুরু হয় অনেক আগে।

এখন তার তৃতীয় পর্যায় চলছে। ওষুধ প্রস্ততকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এই টিকার উৎপাদনে রয়েছে। ভারতের সেরামও এই দায়িত্ব পেয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল সত্যিই যদি অক্সফোর্ডের টিকাটি ৩ মাসের মধ্যেই ব্রিটেনবাসীকে দেওয়া শুরু হয়ে যায় তাহলে ভারতের কিছু সুবিধা হতে পারে কী?

ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এই টিকা উৎপাদনের দায়িত্বে থাকায় একটা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

ব্রিটেনের পাশাপাশি যদি ওই টিকা ভারতেও দেওয়া শুরু করা যায় তাহলে ভারতবাসীর জন্য তা যে অপরিসীম আনন্দের হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *