সাক্ষাৎ আতঙ্ক, প্রাণহীন অবস্থাতেও সমান ভয়ংকর এই ভাসমান সন্ত্রাস, সমুদ্রতটে সতর্কতা
যদি কারও দেখে মনেও হয় যে এর আর প্রাণ নেই, তাহলেও তাকে ছুঁয়ে দেখা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা। কয়েকটি সমুদ্রতটে এখন তারই আতঙ্ক।
						সমুদ্রতটে যদি কেউ এদের দেখতে পান তাহলে তার ধারেকাছেও যেতে মানা করল প্রশাসন। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সমুদ্রতটে ঘুরতে যাওয়া মানুষজনের জন্য।
দেখলে মনে হতে পারে নিথর একটা থকথকে জেলির মত কিছু পড়ে আছে। বেগুলি, গোলাপি এবং নীল রং মিলে তৈরি পুরো দেহ। কারও মনে হতেই পারে ওটা জেলি ফিশ। কিন্তু মোটেও ওটা জেলি ফিশ নয়।
এদের নাম পর্তুগিজ ম্যান ও’ ওয়ার। তবে এরা বেশি বিখ্যাত ফ্লোটিং টেরর নামে। বাংলায় মানে করলে দাঁড়ায় ভাসমান সন্ত্রাস। সন্ত্রাসই বটে। কারণ এদের কর্ষিকাটি মানুষের শরীর ছুঁলে এক ভয়ংকর যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেকসময় শরীরের ওই অংশে ছোট্ট ফুটোর মত তৈরি হয়। ফোড়া হয়।
এমনকি অনেকের জ্বর, প্রাণঘাতী অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায়। একের পর এক সমুদ্রতটে এই ভয়ংকর প্রাণির দেখা মিলছে। তবে তা ভারতের কোনও সমুদ্রতটে নয়। ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি সমুদ্রতটে এদের পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এরা সাধারণত সমুদ্রের জলে ভাসতে থাকে। এরা নিজেরা এগোতে পারেনা। ঢেউয়ে ভেসে ভেসে চলে। কোনও ঝড় হলে ঢেউ উত্তাল হয়। তখনই এদের সমুদ্রতটে পাওয়া যায়।
কেউ যেন কৌতূহলের বশে এদের ছুঁয়ে না ফেলেন তা নিশ্চিত করতে সতর্কতা জারি হয়েছে ব্রিটেনের ওই সমুদ্রতটগুলিতে। এর ছোঁয়া অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিবিসি সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ফ্লোটিং টেরর-এর দেখা পাওয়ার কথা প্রকাশিত হয়েছে।













