বিয়েতে কুকুর সামলাতে পিএইচডি ছেড়ে দিলেন তরুণী
তিনি মেধাবী ছাত্রী। পিএইচডি করছিলেন। কিন্তু সেই পিএইচডি মাঝপথেই ছেড়ে দিলেন তিনি। বিয়ে বাড়িতে কুকুর সামলাতে পিএইচডি ছাড়তে দ্বিধা করলেন না।

মেধাবী ছাত্রী বলে কথা। তিনি পড়াশোনা করে পিএইচডি করবেন। এটা খুব অবাক করা নয়। তিনি পিএইচডি করতেও শুরু করেছিলেন। বেশ এগোচ্ছিল সবকিছু। তবে তিনি আচমকাই সেই পিএইচডি করা থেকে সরে আসেন। ছেড়ে দেন পিএইচডি করা।
কেমন এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত? তিনি পড়া ছেড়ে বিয়েবাড়িতে মন দেন। বিয়ের কোনও কাজে নয়। বিয়েবাড়িতে যাঁরা ব্যস্ত থাকেন। বরকনে পর্যন্ত। তাঁদের পরিবারও। তাঁদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ২টি হয়।
একটি তাঁদের পোষ্যের দেখভাল ওই সময় ঠিকমত না হওয়ায় একটা সমস্যা তৈরি হয়। কারণ সকলে ব্যস্ত থাকেন। দ্বিতীয় প্রায় সব ক্ষেত্রেই বর ও কনে চান তাঁদের বিয়ের অংশ হিসাবে থাকবে তাঁদের আদরের পোষ্যটিও। যাতে সে তাঁদের জীবনের এই অন্যতম আনন্দ মুখর দিনটিতে আনন্দে মেতে উঠতে পারে।
ওই তরুণী বিয়েবাড়িতে পোষ্যদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করা, তাদের দেখভালে ত্রুটি না রাখা, তাদের বিয়ের আনন্দের অংশ করে তোলা, এসব বিষয়ে দক্ষ। আর সেই দক্ষতাই তিনি কাজে লাগাচ্ছেন তাঁর পেশা হিসাবে।
পিউপল নামে সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ওই তরুণী ২০২৪ সালে তাঁর এই ব্যবসা শুরু করেছেন। আর ইতিমধ্যেই তাঁর ২০২৫ সালের সব ডেট বুক হয়ে গেছে।
মানে চাইলেও তাঁর সংস্থা নতুন কোনও বিয়েতে পোষ্য দেখার কাজ ২০২৫ সালে নেওয়ার মত অবস্থায় নেই। রেবেকা নামে ওই তরুণী দারুণ খুশি তাঁর এই নতুন ভাবনার ব্যবসা নিয়ে। পিএইচডি ছাড়ার আক্ষেপ তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্য মুছে দিয়েছে।