Lifestyle

গলদা বা বাগদা চিংড়ি খেতে ভাল লাগে, সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে

সামুদ্রিক মাছ তো অনেকেই পছন্দ করেন। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে। কিন্তু সেই সামুদ্রিক মাছেই এবার কালো ছায়া।

ছুটির দিনে পাতে বেশ বড়সড় গলদা অথবা বাগদা চিংড়ির মালাইকারি মন ভাল করে দেয়। আবার অনেকে টুনা থেকে শুরু করে পমফ্রেট এবং এমন হাজারো সামুদ্রিক মাছ খেতে পছন্দ করেন। সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যকর বলেও পরিচিত।

কারণ সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা শরীরের পক্ষে উপকারি। তাহলে কেন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকেই বিরত থাকার কথা উঠতে শুরু করেছে? কেন অনেক বিশেষজ্ঞ চাইছেন প্রয়োজনে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ছেড়ে দেওয়াই মঙ্গল?

এর কারণ লুকিয়ে আছে ফরএভার কেমিক্যালস বা চিরদিনের রাসায়নিক নামে বিশেষ উপাদানের উপস্থিতির কারণে। একে বলা হয় পিএফএএস বা পারফ্লুওরোয়্যালকাইল অ্যান্ড পলিফ্লুওরোয়্যালকাইল সাবস্টেন্স।

এগুলি এমন উপাদান যা হাজার হাজার বছর ধরে পরিবেশে থেকে যায়। আর যা মানুষ সহ অন্য প্রাণি তো বটেই এমনকি প্রকৃতির জন্যও ধ্বংসাত্মক এবং ক্ষতিকর। এর প্রভাবও সুদূরপ্রসারী।


ফলে তা মানবদেহে প্রবেশ করা উচিত নয়। কিন্তু দেখা গেছে সামুদ্রিক মাছে কমবেশি এই উপাদান উপস্থিত থাকে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন সবচেয়ে বেশি পরিমাণে এই ক্ষতিকারক উপাদান থাকে গলদা ও বাগদা চিংড়িতে।

ব্রিটেনের ডার্টমুথ কলেজের গবেষকেরা বিষয়টি সকলের সামনে এনে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারির পরামর্শও দিয়েছেন। এমনকি সামুদ্রিক মাছ থেকে সকলকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button