জলের তলা থেকে বেরিয়ে আসা ধোঁয়ার কুণ্ডলী নিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে আবহবিদদের
জলের তলা থেকে পাকিয়ে উঠে আসে ধোঁয়া। সেই ধোঁয়া পৌঁছে যায় বায়ুমণ্ডলের অনেক অনেক উপরে। যা এখন আবহবিদদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

সময়টা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত টোঙ্গা-র কাছে সমুদ্র থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী। সে ধোঁয়া লিখে বোঝানো অসম্ভব। তার বিশালত্ব কেবল চোখে দেখে বোঝা যায়।
সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী বার হতেই থাকে। সমুদ্রের তলা থেকে বেরিয়ে আসা এই ধোঁয়া আসে কোথা থেকে? এখানে জলের তলায় রয়েছে হাঙ্গা আগ্নেয়গিরি। সেই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠে সমুদ্রের তলাতেই অগ্নুৎপাত শুরু করে।
যার ফলে প্রচুর জলীয়বাষ্প তৈরি হয় সমুদ্রে। যা জল ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। তা এতটাই বিশাল ছিল যে সেই ধোঁয়া উপরের দিকে উঠে যেতেই থাকে। পৌঁছে যায় মাটি থেকে ৫৭ কিলোমিটার উপরে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারে।
এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখেন আবহবিদেরা। সেই যে ২০২২ সালে জলের তলার সবচেয়ে বড় অগ্নুৎপাত থেকে ৩ বিলিয়ন টন জলীয়বাষ্প তৈরি হয়েছিল, তা বায়ুমণ্ডলে যে কতটা বিপর্যয় ডেকে আনে তা আজ বুঝতে পারছেন বিজ্ঞানীরা।
অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই সমুদ্রের তলার অগ্নুৎপাত সেবার কোনও সালফার উদ্গীরণ করেনি। তৈরি করেছিল কেবল জলীয়বাষ্প। যার পরিমাণ কল্পনার অতীত।
সেই জলীয়বাষ্প এবং সমুদ্রের তলার অগ্নুৎপাতের জেরে তৈরি হওয়া জলীয়বাষ্প এখন আবহাওয়ায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব সার্বিক ভাবেই আবহাওয়ার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা