স্ত্রী বিরহে কাতর, নাওয়া খাওয়া ছেড়ে টানা ১ মাস শুধু বিয়ার পান
খাবারের একটা টুকরো দাঁতে কাটেননি। সারাদিনে খাবার বা পানীয় যাই বলা হোক, স্রেফ বিয়ার। টানা ১ মাস কেবল বিয়ার খেয়ে রইলেন এক ব্যক্তি।

তাঁর ঘরের চারধারে শুধু বিয়ারের বোতল সাজানো। মেঝে বলে কার্যত কিছু নেই। ১০০টির ওপর বিয়ারের বোতল ছড়িয়ে আছে চারধারে। তারই মাঝখান দিয়ে একটা সরু পথ করা। যেখান দিয়ে কোনওক্রমে ওই ব্যক্তি হাঁটাচলা করা, বাথরুমে যাওয়ার কাজটা চালাতেন।
বাড়িতে তিনি একা নন। তাঁর একটি ১৬ বছরের ছেলে রয়েছে। স্কুলে পড়ে। তারও কাছের মানুষ বলতে কেবল বাবা। কিন্তু সেই বাবার তো হুঁশই থাকেনা সারাদিন।
গত ১ মাস ধরে তিনি কেবল বিয়ারের ওপর জীবন চালাচ্ছেন। ১৬ বছরের ওই স্কুল ছাত্র বাবাকে খাওয়ানোর চেষ্টায় ত্রুটি রাখেনি। সে নিজে রান্না করে বাবাকে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে। বুঝিয়েছে কেন খেতে হবে। কিন্তু ৪৪ বছরের ওই ব্যক্তি তাঁর ছেলের কথাও কানে তোলেননি।
তাঁর ছেলের মতে, তার বাবার এই অবস্থা হয়েছে তার মায়ের সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি থাইল্যান্ডের বাসিন্দা ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তি।
তিনি স্ত্রী বিরহে এতটাই কাতর হয়ে পড়েন যে খাওয়াদাওয়া, জল পান সব ছেড়ে দেন। কেবলমাত্র বিয়ারের ওপর ১ মাস কাটিয়ে দেন। এরপর একদিন তাঁর ছেলে স্কুল থেকে ফিরে দেখে তার বাবা খাটে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।
খবর যায় প্যারামেডিকদের কাছে। তাঁরা এসে পরীক্ষা করে জানতে পারেন ওই ব্যক্তির দেহে আর প্রাণ নেই। তিনি আসলে ১ মাস বিয়ার পান করেননি, বিয়ারই তাঁকে শেষপর্যন্ত খেয়ে নিয়েছে। বাবাকে হারিয়ে এখন একদম একা হয়ে পড়েছে ওই ১৬ বছরের কিশোর।