মিষ্টি খেতে মন চাওয়ায় জঙ্গল ছেড়ে মুদির দোকানে ঢুকে পড়ল বন্য হাতি
ব্যস্ত শহরের কোনও আধুনিক সাজসজ্জার মুদির দোকানে ক্রেতার ভিড় তো লেগেই থাকে। সেখানে যদি একটি অতিকায় চেহারার বন্য হাতি ঢুকে খেতে শুরু করে কেমন লাগে!

বয়স ২৭ বছর। বিশালকায় তার চেহারা। বন্য হাতি। জঙ্গলেই তার বাস। একটি অভয়ারণ্য রয়েছে। যেখানে সে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির মাঝে। সেখানে হাতির নিত্য খাবারের কোনও অভাব নেই। কিন্তু এ হাতির একটু অন্যই পছন্দ।
রসনা তৃপ্তির জন্য তার কেবল হাতির খাবার হলেই চলেনা। একটু মিষ্টি, একটু নোনতা, একটু ফাস্টফুড জাতীয় খাবার মাঝেমধ্যে না পেলে তার মন বোধহয় খারাপ করে।
তাই জঙ্গলের আশপাশের ছোটখাটো দোকানের ধারেকাছে তাকে আগেও ঘুরতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার সে যা করল তা অনেকে ভাবতেও পারেননি। এমনকি বন বিভাগের আধিকারিকরাও নন।
থাইল্যান্ডের খাও ইয়াই ন্যাশনাল পার্ক-এর বাসিন্দা ওই হাতিটি অভয়ারণ্যের জঙ্গল ছেড়ে তার দুলকি চালে হেঁটে পৌঁছে গেল শহরে। সেখানে একটি ব্যস্ত দোকানে ঢুকেও পড়ল।
দোকানে সাজানো রয়েছে থরে থরে নানা জিনিসপত্র। যারমধ্যে থাইল্যান্ডের মিষ্টি জাতীয় খাবার সুইট রাইস ক্র্যাকারও ছিল। সেটার ৯টা প্যাকেট নিশ্চিন্তে পেটে চালান করে তারপর হাতিটির মন যায় ডিমের দিকে। বেশ কয়েকটা ডিম আর সঙ্গে শুকনো কলা এবং একটি স্যান্ডউইচ খেয়ে তার হয়তো পেট ভরে যায়।
সে যখন বিভিন্ন তাক থেকে তার পছন্দের খাবার শুঁড় দিয়ে নিয়ে পেটে চালান করছিল তখন দোকানের কর্মীরা তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন ঠিকই, তবে সেদিকে ভ্রুক্ষেপও করেনি হাতিটি।
আরও হয়তো কিছু খাবার খেত। কিন্তু তার আগেই বন কর্মীরা এসে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান অভয়ারণ্যে। হাতি অবশ্য যে টাকার খাবার খেয়েছিল তা দোকানের মালিকের হাতে তুলে দেয় একটি পশুপ্রেমী সংগঠন।