চার্চ চলল বহুদূর, চাকায় গড়িয়ে একটা আস্ত চার্চ সফর করল ২ দিন
চার্চ সম্বন্ধে সকলেরই কমবেশি ধারনা আছে। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উপাসনা স্থল আকারে নেহাত ছোট হয়না। তেমনই একটি চার্চ তার পুরনো জায়গা ছেড়ে চাকায় গড়িয়ে পাড়ি দিল অন্যত্র।

গাড়িতে তুলে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক ভারী যন্ত্র, জিনিসও নিয়ে যাওয়া হয়। তা বলে একটা আস্ত চার্চ! এও সম্ভব! সম্ভব কিন্তু হয়েছে। একটি গোটা গির্জা বা চার্চ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র।
চার্চটিকে ভিত থেকে তুলে ফেলা হয়। চার্চের কাঠামোর কোনও ক্ষতি না করেই। ভিত থেকে তুলে সেটিকে বহু চাকার ওপর বসিয়ে দেওয়া হয় লোহার বিমে ভর করে। সে এক দক্ষযজ্ঞ! বহু মানুষ এই হতবাক করে দেওয়া দৃশ্য দেখার জন্য ভিড় জমান।
কাঠের তৈরি গোটা চার্চটিকেই তুলে নেওয়ার পর সেই চাকাগুলি গড়াতে শুরু করে। গতি ছিল অত্যন্ত ধীর। আর সকলে দেখেন সেই চাকায় গড়িয়ে চার্চটি তার এতদিনের জায়গা ছেড়ে ক্রমে এগিয়ে চলেছে।
এরপর ২ দিন ধরে সেই চার্চ রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে থাকে। সফর শেষ করার পর সেটি পৌঁছে যায় তার নতুন ঠিকানায়। সুইডেনের কিরুনার সেই চার্চের এগিয়ে চলা বিশ্বজুড়ে এক খবরে পরিণত হতে সময় নেয়নি।
ঐতিহাসিক চার্চটিকে তার পুরনো জায়গা থেকে সরিয়ে নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ২টি কারণ জানা যাচ্ছে। একটি হল চার্চটি যেখানে ছিল সেখানে সেটি ক্রমে মাটিতে বসে যাচ্ছিল। যা সেটির বড় ক্ষতির কারণ হতে পারত।
অন্যদিকে ওই চার্চটি যেখানে রয়েছে সেখানে মাটির তলায় রয়েছে লৌহ আকরিক। তা উত্তোলনের জন্যও চার্চটিকে অক্ষত রেখে চাকায় গড়িয়ে স্থানান্তরিত করা হয়।