SciTech

গর্বের দিন, বাধা মুছে মহাকাশে পৌঁছলেন সুনিতা

অবশ্যই সুনিতার মহাকাশে পৌঁছনো একটা গর্বের মুহুর্ত। এদেশের মানুষের কাছে তো বটেই। তাও আবার এমন যানে যা এর আগে কখনও মানুষ নিয়ে যায়নি।

একাধিকবার চেষ্টা। কিন্তু শেষ মুহুর্তে সব ব্যর্থ। ফের চেষ্টা। শেষবার তো কাউন্টডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে কি এই মিশন থমকেই যাবে? সুনিতার মহাকাশে যাওয়া হবেনা? এমন নানা প্রশ্নের মাঝেই অবশেষে নাসা সফল হল।

বোয়িং স্টারলাইনার এই প্রথম মানুষ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল। সফলও হল। সুনিতা ও বাচ উইলমোর পৌঁছে গেলেন মহাশূন্যে। সুনিতা উইলিয়ামস ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাই তাঁর মহাকাশযাত্রা নিয়ে ভারতের মানুষও কৌতূহলী ছিলেন।


সুনিতার সাফল্য ভারতবাসীও তাঁদের সাফল্য বলেই মনে করেন। তবে মহাকাশে যাওয়াটা সুনিতার কাছে নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য তিনি মহাকাশে পৌঁছলেন। তাই মহাকাশে থাকার অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। নাসা ১৯৯৮ সালে প্রথমবার সুনিতাকে বেছে নেয় নভশ্চর হিসাবে।

মহাকাশে হাঁটা, যাকে পরিভাষায় বলা হয় স্পেস ওয়াক, তাতেও সুনিতার রেকর্ড রয়েছে। ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট স্পেস ওয়াকের রেকর্ড রয়েছে তাঁর। যা একজন মহিলা নভশ্চরের স্পেস ওয়াকে মাইলস্টোন।


যদিও সুনিতাকে এখন এক্ষেত্রে ছাপিয়ে গেছেন মার্কিন নভশ্চর পেগি হুইটসন। এদিকে সুনিতা মহাকাশে এরমধ্যেই ৩৩২ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন।

এদিকে নাসা এদিন একটি পরীক্ষাও সেরে ফেলল। সুনিতা ও বাচকে নিয়ে বোয়িং স্টারলাইনার-এর এই সফলভাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাওয়া আগামী দিনে মহাকাশে যাতায়াত আরও সহজ ও প্রশস্ত করার রাস্তা খুলে দিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button