World

দেরিতে নয়, অফিসে আগে পৌঁছনোয় চাকরি গেল এক মহিলার

অফিসে দেরি হয়ে যাবে এই চিন্তায় অনেকেই তাড়াহুড়ো করেন। কিন্তু অফিসে সময়ের আগেই পৌঁছনোর জন্যও যে কারও চাকরি যেতে পারে সে উদাহরণ তৈরি হল।

কর্মক্ষেত্রে দেরি হয়ে যাওয়ার ভয় থেকে মানুষ কি কি না করেন। বিভিন্ন যানবাহনে চড়া থেকে হনহন করে হাঁটা, এমনকি ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ও বাদ যায়না। তবু কোনও না কোনও দিন ঠিকই দেরি হয়ে যায়। আর তখনই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বসের রক্তচক্ষু।

নিয়মিত দেরি হলে শাস্তি পাওয়া এমনকি চাকরি যাওয়ার ভয়ও না হয় মানা যায়। কিন্তু সময়ের আগে অফিসে এসেও যদি কারও চাকরি যায় সেটা খুব অদ্ভুত নয় কি?

স্পেনের এক মহিলার সঙ্গে ঠিক এমনটাই ঘটেছে। তাঁর কাজের সময় শুরু হত সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে। কিন্তু বিগত ২ বছর ধরে তিনি নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট আগেই অফিসে এসে পৌঁছতেন। তবে তার জন্য প্রশংসার বদলে তিনি পেলেন শাস্তি।

২০২৩ সাল থেকে প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে ৭টার মধ্যে তিনি অফিসে পৌঁছতেন। আগে পৌঁছেও তাঁর করার মত কোনও কাজই থাকত না। উল্টে তাঁর এই কাজের জন্য সহকর্মীদের সঙ্গে মহিলার সঠিকভাবে সমন্বয় সাধন হতনা।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা না মানায় শেষমেশ চাকরিটি খোয়াতে হয় তাঁকে। চাকরি হারিয়ে ওই কর্মী আদালতের দ্বারস্থ হন। যেখানে আদালত তাঁকে জানায় প্রতিটি কর্মস্থলের নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। কর্মচারিরা যা মানতে বাধ্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাঁকে বহুবার মৌখিক এমনকি লিখিতভাবেও সতর্ক করেছিলেন।

তাই সময়ের আগে আসার অর্থ এখানে নিয়ম অমান্য করা। তবে শুধু এই কারণেই মহিলার চাকরি যায়নি। আদালতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই কর্মী বহুবার অফিসে পৌঁছনোর আগেই নির্দিষ্ট অ্যাপে লগইন করার চেষ্টা থেকে কোম্পানির গাড়ির ব্যাটারি বিক্রি পর্যন্ত অনেকরকম অসাধু কাজ করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *