SciTech

বেড়েই চলেছে মহাকাশের জঞ্জাল, অভিনব ফন্দি আঁটলেন বিজ্ঞানীরা

মহাকাশে এখন নজর গেছে গোটা বিশ্বের। আর নজর পড়তেই তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন মহাকাশের জঞ্জাল নিয়ে। সাফাই অভিযানে নামতে এক অভিনব পন্থা নিলেন বিজ্ঞানীরা।

মহাকাশ নিয়ে ক্রমশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উৎসাহ বাড়ছে। মহাকাশ শিল্প এখন গোটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। যেসব দেশ মহাকাশে নিজেদের অস্তিত্ব বাড়ানো নিয়ে ভাবছিল না, তারাও এখন উঠেপড়ে লেগেছে মহাকাশে যান পাঠাতে। নিজেদের কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করতে।

পৃথিবীর যে কক্ষপথ, সেখানেই মূলত প্রতিস্থাপিত হয় কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোয় এখন ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মত দেশগুলির যথেষ্ট দাপট রয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় ক্রমে নতুন নতুন দেশও ঢুকে পড়তে এগিয়ে আসছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এখন ৯ হাজারের মত কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরপাক খাচ্ছে, সেখানে হিসাব বলছে ২০৩০ সাল অর্থাৎ ৭ বছরের মধ্যে ৯ হাজার সংখ্যাটা বেড়ে ৬০ হাজার হতে চলেছে। এখন এতটাই কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে আগ্রহী বিভিন্ন দেশ।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ২০৩০ সালেই এমন পরিস্থিতি হবে যে পৃথিবীর কক্ষে জায়গা পাওয়া মুশকিল হবে। এগুলো তো গেল মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহ ও অগ্রগতির কথা, কিন্তু তা যে আর এক চিন্তার ভাঁজ পুরু করছে তার কি হবে!

বিজ্ঞানীরা কিন্তু রীতিমত চিন্তায় রয়েছেন। কারণ ইতিমধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া অকেজো কৃত্রিম উপগ্রহগুলি কক্ষ ছেড়ে টুকরো হয়ে মহাকাশে জঞ্জাল বাড়াচ্ছে। ক্রমে যত দিন যাবে ততই তা বাড়তে থাকবে।

এইসব টুকরো বেড়েই চলেছে কিন্তু তা নষ্ট হচ্ছেনা। মহাকাশে কেবল ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব জঞ্জাল এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী দিনে মহাকাশ জঞ্জালে ভরে উঠবে।

তাই দ্রুত এর সমাধান চাইছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন মহাকাশের জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে একটি সন্ধি স্থাপন করা হোক। নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে একটি চুক্তি হোক। বিভিন্ন দেশ একত্রে একটা সমাধান সূত্র বার করুক।

প্রয়োজনে যে দেশের কৃত্রিম উপগ্রহের মেয়াদ শেষ হবে, সেই দেশকেই খরচ করে সেই কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশ থেকে নামিয়ে আনতে হবে। তারজন্য যা করার তা করতে হবে। যাতে মহাকাশ পরিস্কার থাকে। সেইসঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞানও এগিয়ে যেতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *