SciTech

মহাকাশের অজানা রহস্য উন্মোচন করলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা

রহস্যে ভরা মহাকাশের এক রহস্যের উন্মোচন করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। যা অবশ্যই দেশের জন্য গর্বের। উন্মোচিত হল আকাশ ভরা সূর্য তারার রহস্য।

আকাশ ভরা সূর্য তারা। বিশ্বকবির লেখনীর সেই সূর্য তারাদের রহস্য উন্মোচন করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। আর্যভট্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ অবজারভেশনাল সায়েন্স-এর বিজ্ঞানীরা এবার এই সূর্য তারাদের শৈশবস্থার কথা প্রকাশ করে দিলেন।

যাকে বিজ্ঞানীরা বলেন ইয়ং স্টেলার অবজেক্ট। নাসার থেকে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই কাজটি করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা। দেশের জন্য এই গর্বের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।

একটি তারা বা নক্ষত্র জন্ম নেওয়ার পরই সেই সদ্যোজাত নক্ষত্র সম্বন্ধে এতদিনের ধারনা বদলে দিয়েছে এই গবেষণা। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এতদিন যা মনে করা হত তার চেয়ে অনেক বেশি অশান্ত এবং পরিবর্তনশীল হয় সদ্যোজাত নক্ষত্রেরা।

প্রথমেই তারা তাদের একদম কেন্দ্রে অত্যন্ত ধীরে হাইড্রোজেন ফিউজ ঘটায়। এটাই শুরু। তারপর সে তার গঠনে মন দেয়। বিভিন্ন স্তরে একটি নক্ষত্র তার গঠন সম্পূর্ণ করতে থাকে। যা তাদের উত্তাপ ও ঔজ্জ্বল্যের ওপর নির্ভর করে।

বিজ্ঞানীরা এই সদ্যোজাত তারাদের ৬টি ভাগে ভাগ করেছেন। লিনিয়ার অর্থাৎ যে তারাদের উজ্জ্বলতার ধারাবাহিকতা থাকে, কার্ভড অর্থাৎ লিনিয়ারের ঠিক বিপরীত, পিরিয়ডিক অর্থাৎ যে নক্ষত্রেরা তাদের পাক খাওয়ার ধরনের পুনরাবৃত্তি করতে থাকে, বার্স্ট অর্থাৎ যাদের উজ্জ্বলতা প্রবলভাবে বেড়ে যায়, ড্রপ অর্থাৎ যাদের ঠিক উল্টো হয় মানে উজ্জ্বলতা লক্ষণীয়ভাবে কমে যায় এবং ইরেগুলার অর্থাৎ যেসব নক্ষত্রের কোনও ধারাবাহিকতা থাকেনা। ঘন ঘন নানা পরিবর্তন হতে থাকে।

নক্ষত্রদের জন্মের পর তাদের কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর একটি প্রোটোস্টার তৈরি হয়। ক্রমে তাদের চারধারে যে চক্র থাকে সেখান থেকে উপাদান জমা হতে থাকে এই নক্ষত্রের মধ্যে। এটাই তাদের বৃদ্ধি ঘটায়।

এইসময় আচমকাই নক্ষত্রটির উজ্জ্বলতার পরিবর্তন হতে পারে। এভাবে একসময় নক্ষত্রটির তেজস্ক্রিয় চাপ এই উপাদান সংগ্রহ বন্ধ করে। তৈরি হয়ে যায় একটি একদম নতুন নক্ষত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *