কফি কিনছেন গ্রাহকরা, খেয়ে নিচ্ছে সে, পাকড়াও করতে এসে চমকে গেল পুলিশও
একটি কফির দোকান। সারাদিনে বহু গ্রাহকের আনাগোনা। অনেকেই কফির কাপে সুখ চুমুক দেন এখানে। কিন্তু তাঁদের কেনা সেই কফির কাপ থেকে কফি সাবাড় করে দিচ্ছে সে।
একটি কফির দোকানের মালিকের তো মাথায় হাত। তাঁর জমাটি ব্যবসা তো এবার উঠল বলে! এমন উৎপাত চলতে থাকলে আর কোনও গ্রাহক তো তাঁর দোকানের চৌকাঠ মাড়াবেন না। তবে কি তিনি ভুল করেছেন! তিনিই তো একে ভালবেসে এটা সেটা খাইয়েছেন।
কিন্তু তার অন্য খাবারের চেয়ে পছন্দ যে কফি তা তো প্রথমে বুঝতে পারেননি। কফির জন্য সে সর্বদাই মিশুকে হয়ে ওঠে। গ্রাহকরা এলে তাঁদের কাছে চলে যায়। এক অপরূপ রঙিন পাখির সান্নিধ্য উপভোগই করেন গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের সঙ্গে এই মেলামেশার মূল লক্ষ্য কিন্তু অন্য। তার নজর থাকে গ্রাহকের কফিতে। গ্রাহকের জন্য কফির কাপ টেবিলে এলে সে দিব্যি তাতে চুমুক দিতে থাকে। শেষ করে দেয় গ্রাহকের কেনা কফি।
এ কাণ্ড করছিল একটি রঙিন তোতাপাখি। যাকে হলুদ ঝুঁটির অ্যামাজন প্যারট বলে চিহ্নিত করেছেন পাখি বিশেষজ্ঞেরা। পাখির এই উৎপাত সামাল দিতে না পেরে অগত্যা পুলিশে খবর দেন ওই কফি শপের মালিক।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী শহর সিওলের এই কফি শপটির মালিক এভাবে তাঁর গ্রাহকদের কফি চুরি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। গ্রাহকদের টেবিলে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে মিশে তাঁদেরই কেনা কফিতে চুমুক বসাচ্ছে এই কফিপ্রেমী তোতা, এটা তাঁর কাছে অশনিসংকেত হয়ে দেখা দেয়।
তিনি বুঝতে পারেন এভাবে চললে তাঁর দোকানে গ্রাহক আসা কমে যাবে। তাই পুলিশে খবর। পুলিশ এসে ওই তোতাটিকে ধরেও নিয়ে যায়। এই প্রজাতির তোতাপাখি দক্ষিণ কোরিয়ায় পোষা মানা। সেজন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। আপাতত এই বিরল প্রজাতির তোতাপাখিটির দেখভালের দায়িত্ব বর্তেছে পশু রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার ওপর।













