অনন্য স্বীকৃতি অর্জন করল ভারতের ১৪০ কোটি বছর পুরনো পার্ক
ভারতের এই জীবাশ্ম পার্ক বা ফসিল পার্ক এবার বিশ্বজুড়ে এক বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করল। যা অবশ্যই ভারতবাসীকে গর্বিত করার জন্য যথেষ্ট।

পাহাড়ি এলাকা। চারধারে দিগন্ত বিস্তৃত গাছ। এখানেই এমন অনেক প্রস্তরখণ্ড রয়েছে যার ওপর গোল গোল দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এই গোলাকার দাগ কোনও দাগ নয়, বরং জীবাশ্ম। আনুমানিক ১৪০ কোটি বছর পুরনো জীবাশ্ম।
স্ট্রোমাটোলাইটস এবং অ্যালগি, এই ২ প্রকার প্রাণের জীবাশ্ম এখানে চারধারে পাথরের ওপর দেখতে পাওয়া যায়। মনে করা হয় পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চারের শুরুর দিকের জীবাশ্ম এগুলি।
যা পৃথিবীর প্রাণের ইতিহাস জানার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞেরা তো বটেই, বহু পর্যটকও ভিড় জমান এই জীবাশ্ম দেখার জন্য।
উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার রবার্টসগঞ্জ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সালখান গ্রামের কাছে অবস্থিত এই সালখান ফসিলস পার্ক। যাকে অনেকে চেনেন সোনভদ্র ফসিলস পার্ক নামেও।
কাইমুর রেঞ্জের অন্তর্গত এই ফসিল পার্ক বা জীবাশ্ম পার্ক এবার জায়গা পেল ইউনেস্কো-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ-এর টেনটেটিভ তালিকায়। যার মানে হল আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই এই জীবাশ্ম পার্কটি বিশ্ব হেরিটেজ তকমা পেয়ে যাবে।
উত্তরপ্রদেশ পর্যটনে এই সালখান ফসিলস পার্কটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পর্যটকই এখানে ছুটে আসেন পাথরের ওপর এই চাকা চাকা দাগের জীবাশ্ম সচক্ষে দেখার টানে।
এই সালখান ফসিলস পার্ক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হয়ে যাওয়া মানে এই পার্কটি বিশ্ব ইকো ট্যুরিজম মানচিত্রে জায়গা করে নেবে। যা অবশ্যই ভারতের জন্য গর্বের বিশেষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা