Kolkata

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু শর্বরী দত্তর, বলছে ময়নাতদন্ত

খুনের তত্ত্ব খারিজ করে দিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রিপোর্টে জানানো হয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।

কলকাতা : বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তর দেহ তাঁর ঘরের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। তাঁকে শেষবার পরিবারের লোকজন দেখেছিলেন তার আগের দিন ডিনারের সময়। তারপর থেকে তাঁকে দেখেননি তাঁরা।


রাত ১২টার পর তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বাথরুম থেকে। ততক্ষণে প্রায় একদিন কেটে গেছে। তাঁর বাঁ গোড়ালিতে একটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা থেকে অনেকেই প্রাথমিকভাবে খুন বলে মনে করতে শুরু করেছিলেন। এমনকি কলকাতা পুলিশও সেটা মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করে।

শর্বরী দত্তর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কিন্তু খুনের তত্ত্ব কার্যত খারিজ করে দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে শর্বরী দত্তর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। যদিও পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা আগেই দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে এমন এক প্রথমসারির ফ্যাশন ডিজাইনারের প্রয়াণে শুধু ফ্যাশন দুনিয়াই নয়, বাংলার সিনেমা জগতও বিষণ্ণ।



বাংলার ফ্যাশন দুনিয়ার অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন শর্বরী দত্ত। তাঁর উদ্ভাবনী ভাবনা বারবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর ভাবনা বাংলার নারী ও পুরুষের ফ্যাশন ভাবনাকেই অনেকটা বদলে দিয়েছে। সাধারণ জীবনে তার ছাপ পড়েছে। বদলেছে পোশাকের ধরণ। বদলেছে নিজেকে মেলে ধরার ট্রেন্ড।

নতুন ট্রেন্ড তৈরি করে দিতে শর্বরী দত্তর তুলনা ছিলনা। সনাতনি পোশাককে আধুনিক করে তোলা, তাকে ট্রেন্ডি করে তুলেছিলেন শর্বরী। রঙিন ধুতির চল তাঁর হাত ধরেই শুরু। বাংলার এই বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের দেহ পাওয়া যায় তাঁর বাথরুম থেকে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ব্রড স্ট্রিটে তাঁর বাড়ির বাথরুমে পড়েছিল দেহটি। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শর্বরী দত্তর পারিবারিক চিকিৎসক অবশ্য দেহ পরীক্ষার পর জানিয়ে দেন মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই।

শর্বরী দত্তর মৃত্যু বাংলার ফ্যাশন দুনিয়ায় এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করল। বঙ্গ জীবনের পোশাকআশাকের ক্ষেত্রে এক ট্রেন্ড সেটার চলে গেলেন।

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button