World

আজব ধাঁধা, দেশে অফুরন্ত বালি থাকতেও বিদেশ থেকে বালি কিনছে সৌদি আরব

সৌদি আরব নামটা বললেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে বালির প্রান্তর। মরুভূমি আর মরুভূমি। বালি আর বালি। তারপরেও সৌদি আরবের বালির চাহিদা মিটছে না।

সৌদি আরব শব্দটা শুনলেই মনে পড়ে মরুভূমির কথা। প্রবল গরম আর মাইলের পর মাইল জুড়ে মরুভূমি। এটাই যেন সৌদি আরব। যে দেশের নিজেরই অফুরন্ত বালি রয়েছে, তাদের কিনা অন্য দেশ থেকে বালি কিনতে হচ্ছে! অবাক হওয়ার মতই বিষয়।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রতিবছরই অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশ থেকে কোটি কোটি টাকার বালি কিনছে সৌদি আরব। নিজের দেশে অফুরন্ত বালি থাকা সত্ত্বেও কেন অযথা খরচ করে এই বালি কেনা? ধাঁধা মনে হতেই পারে। তবে তার উত্তরও রয়েছে। আর তা হল ২০৩০।

সৌদি আরব তার পরিকাঠামো উন্নয়নকে একটা উচ্চতায় পৌঁছ দেওয়ার জন্য ২০৩০-কে পাখির চোখ করে ছুটছে। আর পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করা মানে নির্মাণে জোর দেওয়া। বহুতল বাড়ি থেকে শুরু করে যে কোনও নির্মাণকাজেই বালি লাগে।

সিমেন্টের সঙ্গে বালি মিশিয়ে তা দিয়ে বাড়ি তৈরি হয়। নির্মাণকে মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে বালির একটা ভূমিকা থাকে। তবে সেই বালির দানা হতে হবে কোণা যুক্ত, অমসৃণ।

সৌদি আরব সেখানেই সমস্যায় পড়েছে। এত বালি থাকা সত্ত্বেও কোটি কোটি টাকার বালি কিনতে হচ্ছে বিদেশ থেকে। সৌদি আরবে যে অফুরন্ত বালি পাওয়া যায় তা অত্যন্ত পাতলা এবং গোলাকার।

গোলাকার ও হালকা বালি নির্মাণে ব্যবহার করা যায়না। তাতে নির্মাণ শক্তিশালী হয়না। সিমেন্টের সঙ্গেও ভাল মেশে না। মরুভূমির বালি দিয়ে তাই নির্মাণকাজ হয়না।

নির্মাণকাজের জন্য নদী বা হ্রদের পাদদেশের বালি লাগে। যা বড় হয়। গোল নয়, প্রতি দানায় কোণা থাকে। অমসৃণ হয়। সেই বালিই সিমেন্টের সঙ্গে দারুণভাবে মিশে নির্মাণকে মজবুত করে তোলে। তাই সৌদি আরবের কিছু করার নেই। তাকে বাধ্য হয়েই নির্মাণকাজের জন্য বালি বাইরের দেশ থেকেই কিনতে হচ্ছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *