Entertainment

সলমনকে খুনের হুমকি, তড়িঘড়ি বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

রেস ৩ সিনেমার শ্যুটিং চলছিল মুম্বইয়ের ফিল্ম সিটিতে। শ্যুটিং করছিলেন সলমন খান। আচমকাই সেখানে হাজির হয় পুলিশ। রেস ৩-এর প্রযোজক রমেশ তৌরানিকে পুলিশ জানায় সলমন খানের এখানে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই অবিলম্বে শ্যুটিং বন্ধ করে তাঁর বাড়ি ফেরা দরকার। এরপরই সলমন খানকে ৬ জন সশস্ত্র পুলিশকর্মী একটি গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন। বলিউড সুপারস্টারকে আগামী কয়েক দিন চুপচাপ বাড়িতেই কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।


কিন্তু কেন এভাবে সলমনকে শ্যুটিং থেকে তড়িঘড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে হল পুলিশকে? ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ ডিসেম্বর। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় জোধপুরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন সলমন খান। গত ১০ বছর ধরে এই মামলায় অনেকবারই জোধপুরের আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে এই বলিউড সুপারস্টারকে। এদিকে কৃষ্ণসার হরিণ সেখানকার বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আরাধ্য। কৃষ্ণসার হরিণ তাঁদের কাছে দেবতা সম। ফলে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় অভিযুক্ত সলমন খানকে হত্যার হুমকি দেয় ওই সম্প্রদায়ের এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। খুনের চেষ্টা সহ একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে লরেন্সের বিরুদ্ধে। ২০টি মামলা ঝুলছে মাথার ওপর। এহেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার ঘোষণার সুরেই জানিয়ে দেয় তারা জোধপুরেই সলমনকে খুন করবে। তাহলেই সলমন জানতে পারবেন তাদের আসল পরিচয়। এরপর থেকেই সতর্ক হয় পুলিশ।

পুলিশ জানাচ্ছে, গত মঙ্গলবার রেস ৩-এর শ্যুটিং চলাকালীন বেশ কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী শ্যুটিং সেটের খুব কাছে পৌঁছে যায়। ঠিক কী উদ্দেশ্যে তারা এসেছে তা পরিস্কার ছিল না পুলিশের কাছে। সলমনকে হত্যার ষড়যন্ত্রও হতে পারে এই আশঙ্কায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশ সলমন খানকে শ্যুটিং সেট থেকেই তুলে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button