অস্বাভাবিক গরমে পুড়ছে বিশ্বের অন্যতম ঠান্ডা বরফ ঢাকা অঞ্চল, অবিশ্বাস্য বলছেন বিজ্ঞানীরা
এমন গরম যে এ অঞ্চলে আদৌ পড়তে পারে তা মেনে নিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। পারদ যেখানে চড়েছে তা দেখে বিজ্ঞানীদের মন্তব্য একটাই, এটা অসম্ভব।
![Russia](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/06/russia.jpg)
বিশ্বজুড়েই এল নিনোর প্রভাব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে যে তা ক্রমশ বদলে দিচ্ছে চেনা গরম। অচেনা অসহ্য গরম সেই স্থান দখল করছে।
বিশ্বের অন্যতম শীতল স্থান বলা হয় সাইবেরিয়াকে। সারাবছরই বরফের পুরু চাদরে ঢাকা থাকে এই সুবিশাল অঞ্চল। সাইবেরিয়াতেই রয়েছে এমন এক শহর যেখানে মাইনাস ৬০ ডিগ্রির ওপর ঠান্ডা থাকে আর সেখানে মানুষ বাস করেন।
সাইবেরিয়া যে অন্যতম এক ঠান্ডা অঞ্চল সেই বিশ্বাস এবার বোধহয় ভাঙতে বসল। কারণ সাইবেরিয়াতে এবার পারদ চড়েছে ৩৯ ডিগ্রিতে। যা বিশ্বাস করতে পারছেন না বিজ্ঞানীরাও।
সাইবেরিয়ার বিভো নামে জায়গায় এবার পারদ চড়েছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে। যাকে ৪০ ডিগ্রি বললেও ভুল কিছু বলা হয়না। ভারতের কোথাও ৪০ ডিগ্রি হলে তা খবর হয়। পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই।
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে পারদ ৪০-এ গেলে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে। সেখানে সাইবেরিয়ায় ৪০ ডিগ্রি! বিজ্ঞানীদের পক্ষে মানা কঠিন তো হবেই।
জালতুরোভস্ক এলাকায় পারদ চড়েছে ৩৭.৯ ডিগ্রি। আর এমনই নানা জায়গার পারদ সাইবেরিয়া জুড়ে। সাইবেরিয়ার ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কখনও এমন জায়গায় পৌঁছয়নি পারদ।
সাইবেরিয়ায় যে তাপপ্রবাহ হতে পারে তা সেখানকার মানুষ কেন, বিশ্বের কোনও প্রান্তের মানুষই ভাবতে পারছেন না। চলতি সপ্তাহে চিনে পারদ ৪৫ ডিগ্রি পার করেছে, উজবেকিস্তানে ৪৩ ডিগ্রি পার করেছে, কাজাখস্তানে ৪১ ডিগ্রি পার করেছে। যা এসব জায়গার জন্য অস্বাভাবিক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা