৩০০ টাকার ভারতীয় চটি ১ লক্ষ টাকায় বিক্রির চেষ্টা, সমালোচনার মুখে পিছু হটল বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড
ভারতের পারম্পরিক এই চটি ৩০০ টাকাতে আজও পাওয়া যায়। যা ১ লক্ষ টাকায় বিক্রির চেষ্টায় বেকায়দায় বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড।

ভারতে এই চটি বিখ্যাত। শতাব্দী প্রাচীন তার ঐতিহ্য। যার গায়ে লেগে আছে জিআই ট্যাগ। দাম পড়ে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকার মধ্যে। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কোলাপুরি চটির কথা জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।
কোলাপুরের এই চটি শিল্প শতাব্দী প্রাচীন। বংশপরম্পরায় এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু শিল্পী। কোলাপুর ও তার আশপাশের অনেক পরিবারের রুটিরুজি চলে এই চটি তৈরি করে। এই চটি হস্তশিল্পও বটে।
ভারত সরকার ২০১৯ সালে কোলাপুরি চটিকে জিআই ট্যাগ প্রদান করেছে। সেই কোলাপুরি চটি এবার পায়ে শোভা পেল এক ফ্যাশন শোয়ে।
ইতালির জগৎবিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রাডা মিলানে তাদের প্রাডা মেনস ২০২৬ স্প্রিং সামার ফ্যাশন শোতে এই চটি ব্যাবহার করল। মডেলদের পায়ে এই চটি নজরও কাড়ে।
প্রাডা এই চটির দাম ফেলে ১ লক্ষ টাকা। তবে চটির সেই ছবি ও দাম নজরে আসার পর অনেকেই সমালোচনা শুরু করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে সরাসরি প্রাডা ফ্যাশন ব্র্যান্ডকে চিঠি লেখেন মহারাষ্ট্র চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট ললিত গান্ধী।
তিনি সাফ লেখেন, সামান্য স্বীকৃতি না দিয়ে, কৃতিত্ব না দিয়ে বা ভারতের এই প্রাচীন চটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের সঙ্গে কোনও যৌথ সমঝোতায় না এসে প্রাডা সঠিক কাজ করেনি। প্রাডার উচিত ছিল নৈতিক ফ্যাশন রীতিকে সম্মান জানিয়ে পারম্পরিক দক্ষতা ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা।
এমন এক কড়া চিঠি পাওয়ার পর অবশ্য প্রাডা-র কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বিভাগের প্রধান লরেঞ্জো বার্তেলি জানিয়েছেন, তাঁরা এই চটির ডিজাইনে একদম প্রাথমিক স্তরে আছেন। তাঁরা যে এই ডিজাইনের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের সঙ্গে দক্ষতা আদান প্রদানও করবেন সে বিষয়েও নিশ্চিত করেছেন লরেঞ্জো।
তিনি আরও পরিস্কার করে দিয়েছেন যে প্রাডা চায় কোলাপুরি চটি প্রস্তুতকারক কারিগরদের এই শিল্পের যোগ্য সম্মান দিতে। তারা যে কোলাপুরি চটির আদলেই তাদের মডেলদের পায়ের চটি প্রদর্শন করেছে তা বকলমে মেনে নিয়েছে প্রাডা কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা