World

পাহাড়ের পাদদেশে ৫২০০ রহস্যময় গর্ত, এল কোথা থেকে, শতবর্ষের রহস্য উন্মোচন

১০০ বছর ধরে মানুষ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। এ পাহাড়ের পাদদেশে এমন হাজার হাজার গর্ত এল কোথা থেকে। কেনই বা তৈরি হয় সেসব গর্ত। এবার বোধহয় উত্তর মিলল।

একটি পাহাড়ের পাদদেশে বিশাল বিশাল গর্ত। প্রতিটি গর্ত ৩ থেকে ৬ ফুটের। গভীরতা ৩ ফুটের মত। খুব কাছে কাছে লেপ্টে থাকা এই গর্ত একটা আধটা নয়। হাজার হাজার! ৫ হাজার ২০০টির ওপর এমন গর্ত প্রায় শত বছর ধরেই মানুষের কাছে এক রহস্য।

কোথা থেকে এল এমন গর্ত? কারা তৈরি করল? নাকি নিজে থেকেই এসব গর্ত তৈরি হয়েছে? এগুলো কি প্রাচীন যুগের মানুষের কবরের জন্য তৈরি? এমন নানা প্রশ্ন সামনে এলেও রহস্য রহস্যই রয়ে গিয়েছে। সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এখন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের হাত ধরে একটি জায়গায় হয়তো পৌঁছতে পারলেন বিজ্ঞানীরা।

দক্ষিণ পেরুর আন্দিজ পর্বতমালার মন্তে সিয়েরপে, যাকে সারপেন্ট মাউন্টও বলা হয়, সেই পাহাড়ের পাদদেশে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গায়ে গায়ে প্রচুর গর্তের দেখা পাওয়া যায় ১৯৩৩ সালে।

সেই থেকেই এই রহস্যময় গর্তগুলি নিয়ে নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে। এবার সেই মাটি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেছেন, এগুলি কোনও কবর নয়। প্রাকৃতিক ভাবেও তৈরি হয়নি। বরং এই স্থানটি এখন রুক্ষ পাহাড়ের পাদদেশ হলেও ইনকা পূর্ব সভ্যতায় মানুষের কাছে এই জায়গার যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল।

এখানে ছিল একটি বিশাল বাজার। যেখানে মানুষ আসতেন বিনিময় ব্যবস্থায় কেনাকাটা করতে। তুলো আর ভুট্টা ছিল প্রধান। যা বিনিময় হত। এই গর্তগুলিতে এইসব উৎপাদন জমা করে রাখা হত বিক্রির জন্য।

সেজন্য এই গর্তগুলি খোঁড়া হত। সেখানে একটি ঝুড়ির মত জিনিসে শস্য, তুলোর মত উৎপাদন জমা করে রাখা হত। চলত বিনিময়। গর্তগুলির রহস্য কি তবে এই তত্ত্বের হাত ধরেই উন্মোচন হয়ে গেল? অন্তত একাংশের বিজ্ঞানী তাই মনে করছেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই গর্ত রহস্য উন্মোচনের কথা প্রকাশিত হয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *