সোনালি দিনের পথে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান, অন্য সাফল্যের কথা জানালেন মন্ত্রী
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্বন্ধে এখন গোটা বিশ্ব অবগত। সেই মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের আরও এগিয়ে যেতে অন্য এক সাফল্যের কাহিনি শোনালেন মন্ত্রী।
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো, স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে উৎসাহ প্রদান করার পথে কেন্দ্র আগেই পদক্ষেপ শুরু করেছিল। এবার সেই লক্ষ্যে কতটা এগিয়েছে তারা সেটা সকলেই জানতে আগ্রহী ছিলেন। সংসদে সেই ছবি তুলে ধরলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। আর যা তুলে ধরলেন তা বেশ তাক লাগানো।
মন্ত্রী জানান, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানে বেসরকারি বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার। যা অবশ্যই চমকে দেওয়ার মত অঙ্ক।
সেই সঙ্গে এই সংখ্যাই প্রমাণ করছে যে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানে অংশ নেওয়ার জন্য স্টার্টআপ সংস্থাগুলির উৎসাহ এখন কোন পর্যায়ে পৌঁছ গেছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে ২০২০ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় মহাকাশ বিভাগের অধীনে তৈরি করা হয় একটি স্বয়ংশাসিত এজেন্সি। নাম দেওয়া হয় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টার।
ভারত সরকার এখন কেবল বাণিজ্যিক কারণেই নয়, সেই সঙ্গে বৈজ্ঞানিক উদ্যোগের ক্ষেত্রেও মহাকাশ বিজ্ঞানে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহ প্রদান করছে বলে সংসদে জানান মন্ত্রী।
এদিন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানে বিপুল অঙ্কের বেসরকারি বিনিয়োগের খতিয়ানের পাশাপাশি ২০২৬ সালের মধ্যে ভারত তার কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণের তালিকাও সামনে এনেছে।
সবে মহাকাশে পাড়ি দেওয়া ইসরো ও নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি নিসার নামে কৃত্রিম উপগ্রহটি ছাড়াও ওশানস্যাট-৩এ, জিস্যাট-৭আর, এনভিএস-০৩ এবং টিডিএস-০১ নামে কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে মহাকাশে পাঠানো হবে বলে জানান মন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













