Entertainment

মহারাজাকে খারাপ লোক হিসাবে দেখানো হয়েছে, প্রতিবাদের মুখে পানিপথ

সঞ্জয় লীলা বনশালির পদ্মাবত সিনেমা শ্যুটিংয়েই প্রতিবাদের ঝড়ের মুখে পড়েছিল। সবচেয়ে বেশি আন্দোলন হয়েছিল রাজস্থানেই। সেই পদ্মাবত জটিলতা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। বহু উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে সেই সিনেমা অবশেষে পর্দার মুখ দেখে। আশুতোষ গোয়াড়েকরের পানিপথ শ্যুটিংয়েই তেমন প্রবল ধাক্কার মুখে না পড়লেও মুক্তির পর কিন্তু বেশ বিপাকে পড়েছে। ২ দিন ধরে সিনেমার বিরুদ্ধে আন্দোলন তৈরি হয়েছে।

পানিপথ সিনেমায় দেখানো হয়েছে মারাঠা বীর সদাশিব রাও ভাউ যখন আফগানদের হারানোর জন্য মহারাজা সূরজমলের সাহায্য চান তখন সূরজমল তাঁকে জানান তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু শর্ত আছে। জিতলে তাঁকে আগ্রা দুর্গ দিয়ে দিতে হবে। তাঁর সেই দাবি না মানায় তিনি সদাশিবকে আফগানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করেননি। সহজ কথায় সিনেমায় মহারাজা সূরজমলকে একজন লোভী রাজা হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে। আর এখানেই আপত্তি রাজস্থানের বহু মানুষের।


তাঁদের পাল্টা দাবি, সূরজমলকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের অনেক জায়গায় আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। অবস্থা বিবেচনা করে রাজস্থানের এক সাংসদ তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ও ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের মাথা প্রসূন যোশীকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন এরপর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি ভরতপুরের মহারাজা সূরজমলের মুখে রাজস্থানি ও হরিয়ানভি ভাষার ব্যবহার নিয়েও। তাঁদের দাবি সূরজমল কেবল ব্রিজ ভাষায় কথা বলতেন। অন্য কোনও ভাষায় নয়। ফলে তথ্যে ভুল রয়েছে। যে আগ্রা ফোর্টের আধিপত্য পাওয়াকে সামনে রেখে সিনেমায় মহারাজা সূরজমলকে লোভী রাজা হিসাবে দেখানো হয়েছে তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খোদ মহারাজার বংশধরেরাও। ঐতিহাসিক রামবীর শর্মা আবার জানিয়েছেন, যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখন আগ্রা সূরজমলের হাতেই ছিল। ফলে তা নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই। সিনেমার তথ্যে ভুল রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button