৩ হাজার গ্রাম জলের তলায়, আতান্তরে আড়াই লক্ষ মানুষ, প্রতিবেশি জমিতে ঐতিহাসিক বন্যা
অঝোর বৃষ্টি, বন্যা, জলের তলায় গ্রাম, এসব আগেও দেখা গেছে। কিন্তু এভাবে এত শোচনীয় রূপ নেয়নি। এবার ঐতিহাসিক বন্যার কবলে প্রতিবেশি জমি।

বৃষ্টি হয়েই চলেছে। জল বাড়ছে। বন্যার কবলে নতুন নতুন এলাকা চলে যাচ্ছে। শহর থেকে গ্রাম, বন্যার দাপটে নাজেহাল। হাজার হাজার গ্রাম, ছোট গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে। এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ১০০ গ্রাম এবং ২ হাজার ৯০০ ছোট গ্রাম জলের তলায় হারিয়ে গেছে।
প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থা যে খাদ্য সংকট তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষেত জমি জলে ভাসছে। যেসব ফসল মাঠ থেকে তোলার অপেক্ষা ছিল, সেসব ফসল পাকা অবস্থায় মাটিতেই নষ্ট হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে খাদ্য সংকট মাথার ওপর নাচছে। এমনকি যা পরিস্থিতি তাতে ভয়ংকর মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়তে চলেছে এই দেশ। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ পঞ্জাব। সেই পঞ্জাব প্রদেশ ভয়ংকর বন্যার কবলে পড়েছে।
পাকিস্তানের খাদ্যের বাটি বলা হয় পঞ্জাবকে। এখানকার জমিতে ফসল ভাল হয়। সেই পঞ্জাব বানভাসি হওয়ায় সেখানে ফসল নষ্ট হয়েছে সীমাহীন ভাবে। বহু এলাকায় গৃহপালিত পশুরা ভেসে গেছে বন্যার জলে।
স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সব হারিয়ে গেছে জলের তলায়। বিশেষজ্ঞেরা এই বন্যাকে পাকিস্তানের জন্য এক ঐতিহাসিক বন্যা বলে ব্যাখ্যা করছেন। এমন বন্যা বহুকালের মধ্যে দেখেনি পাকিস্তান।
এদিকে পাকিস্তান জুড়েই আগামী সপ্তাহগুলিতে আরও প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় আকার নেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা