Entertainment

ক্যামেরার সামনে জ্যান্ত আরশোলা চিবিয়ে খেয়েছিলেন তিনি, সে গল্প বললেন বিখ্যাত অভিনেতা

ক্যামেরার সামনে অভিনয় করতে গিয়ে অভিনেতাদের অনেক কিছুই করতে হয়। তবে তিনি নিজেই চেয়ে নিয়েছিলেন জ্যান্ত আরশোলা। যা নিয়ে তিনি এখন অনুতপ্ত।

সে অনেক বছর আগের কথা। ১৯৮৮ সালে একটি সিনেমায় অভিনয় করছিলেন তিনি। সেখানে একটি দৃশ্যে তাঁকে কাঁচা ডিম গিলে খেতে হবে। সেই কাঁচা ডিম না খেয়ে তিনি প্রস্তাব দেন দৃশ্যটিকে আরও বাস্তবিক ও শিহরণ জাগানো করে তুলতে তিনি বরং আরশোলা খাবেন।

সেইমত তাঁকে ২টি আরশোলা এনে দেওয়া হয়। ক্যামেরার সামনে তিনি সেই ২টি জ্যান্ত আরশোলা চিবিয়ে খান। তখন ‘ভ্যাম্পায়ার্স কিস’ সিনেমায় যথেষ্ট সুন্দরভাবে দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুললেও এখন তাঁর সেই আরশোলা খাওয়া নিয়ে নিজের ওপরই অসন্তোষ চরমে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

অস্কার জয়ী অভিনেতা নিকোলাস কেজ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি আর কখনও কোনও কীটপতঙ্গ খাবেন না। প্রসঙ্গত তাঁর সাম্প্রতিক সিনেমা রেনফিল্ড-এ কিছু আলুর পোকা খেতে বলা হয়েছিল নিকোলাসকে। কিন্তু তিনি সাফ না করে দেন।

যদিও রেনফিল্ড সিনেমায় তাঁর সহ অভিনেতা নিকোলাস হল্ট তাঁর মতই আরশোলা খেয়েছেন। তবে সে আরশোলা আসল ছিলনা। ছিল ক্যারামেলের তৈরি।

ফলে তা খাওয়া নিয়ে আপত্তি থাকারও কিছু নেই। কিন্তু নিকোলাস কেজের আরশোলা জ্যান্ত এবং আসল ছিল। সেই স্মৃতি তিনি আজও ভুলতে পারেননা।

নিকোলাস কেজ সাফ জানিয়েছেন, তিনি সিনেমার পর্দায় আর কখনও এভাবে জ্যান্ত পোকামাকড় খাবেন না। তবে পোকামাকড় খাওয়া ভাল এবং তা বিশ্বের এক বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে।

Nicolas Cage
নিকোলাস কেজ, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

শর্ত একটাই, পোকা খাচ্ছেন এই ভয় দূর করতে হবে। তা করতে পারলে কীটপতঙ্গে প্রচুর প্রোটিন থাকে, ফ্যাট একদম থাকেনা, খুবই স্বাস্থ্যকর।

সেইসঙ্গে নিকোলাস কেজ বলেন, মানুষ যদি পোকামাকড় খাওয়ার আতঙ্ক ত্যাগ করতে পারে তাহলে কীটপতঙ্গের অভাব নেই এ পৃথিবীতে। ফলে তা খাদ্য সমস্যা পৃথিবী থেকে মুছে দিতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *