World

মাকে লেখা সৈনিক পিতার প্রেমপত্র ৩০ বছর পর হাতে পেলেন মেয়ে

এ এক আবেগঘন মুহুর্ত। বাবার কিছু চিঠি হাতে পেয়ে আপ্লুত মেয়ে। সৈনিক পিতার সেসব চিঠি অন্য একজন পান ৩০ বছর আগেই। তাঁকে খুঁজে পেলেন এতদিনে।

যে বাড়িটি তাঁরা কিনেছিলেন সেখানে দেওয়াল ভেঙে তা মেরামতির কাজ চলছিল। সেই সময় দেওয়ালের পিছনে লুকিয়ে রাখা কিছু চিঠি এক দম্পতি হাতে পান। সময়টা ছিল ৯০-এর দশকের প্রথম দিক।


সে সময় পাওয়া সেই চিঠিগুলি খুলে পড়তে শুরু করেন তাঁরা। দেখেন ওই চিঠি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক সৈনিক ক্লদ স্মিথের লেখা। যা তিনি লিখেছিলেন তাঁর স্ত্রী মারি স্মিথকে।

ক্লদের লেখা সেই প্রেমপত্রগুলি একাধিকবার পড়ে ফেলেন ওই দম্পতি। কিয়ারনে দম্পতি এরপর স্থির করেন যে তাঁরা ওই চিঠিগুলি ক্লদের পরিবারের হাতে তুলে দেবেন।



কিন্তু কে ক্লদ? তাঁর পরিবারই বা কোথায়? কিছুই জানা ছিলনা। কীভাবে ওই সৈনিকের পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায় তা ভাবতে ভাবতেই কেটে যায় ৩০টা বছর।

সম্প্রতি তাঁরা একটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পান। সেখানে যোগাযোগ করেন তাঁরা। ওই ওয়েবসাইটই কার্যত খুঁজে পায় ক্লদ স্মিথের মেয়েকে।

সেই চেলসি ব্রাউন এখন নিজেই এক বৃদ্ধা। নিউ ইয়র্কের বাড়ির দেওয়ালের পিছন থেকে উদ্ধার হওয়া ব্রাউনের বাবার সেই প্রেমপত্রের গোছা ব্রাউনের ভারমন্টের বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে তুলে দেন কিয়ারনে দম্পতি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধের ময়দানে বসে তাঁর মাকে লেখা বাবার সেই ভালবাসার চিঠিগুলি হাতে পেয়ে কার্যতই আবেগঘন হয়ে পড়েন মেয়ে চেলসি। এই বিরল প্রাপ্তি যে তিনি জীবনে হাতে পাবেন সেটা তিনি ভাবতেও পারেননি।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button