National

হাসপাতালে হোমযজ্ঞ করলেন রোগীকে বাঁচাতে ব্যর্থ চিকিৎসক

রোগী মরতে বসেছে। সেই অবস্থায় একজন চিকিৎসক আপ্রাণ চেষ্টা করেন তাঁকে বাঁচিয়ে তোলার। পুনের দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালের চিকিৎসক সতীশ চহ্বনও সেই চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ, মরণাপন্ন সন্ধ্যা সোনাওয়ানেকে বাঁচাতে কালো জাদুর শরণাপন্ন হন ওই চিকিৎসক। ১১ মার্চ হাসপাতালে এক তান্ত্রিককে ডেকে আনেন তিনি। ঘণ্টাখানেক ধরে অসুস্থ রোগীর কেবিনে চলে তন্ত্রমন্ত্রের উৎপাত। চিকিৎসকের এমন ‘ন্যক্কারজনক’ প্রচেষ্টা যদিও সফল হয়নি। পরের দিনই অর্থাৎ গত গত ১২ মার্চ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ১৩ মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় একটি ভিডিও। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে হাসপাতালে রোগীর কেবিনে পূজা-অর্চনা করতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। শচীন ওয়াড়েকর নামে ওই ব্যক্তি পেশায় তান্ত্রিক। তার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অসুস্থ মহিলার চিকিৎসককে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও অচিরেই নজরে আসে পুনে পুলিশের। ঘটনার তদন্তে নাম তারা। অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


মৃত মহিলার ভাইয়ের দাবি, গত ৩ মাস ধরে ওই চিকিৎসকের নিজস্ব হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর দিদির। পরে তাঁর পরামর্শেই পুনের দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সন্ধ্যাদেবীকে। সেখানে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে হোমের ব্যবস্থা করা হয় রোগীর কেবিনে। যদিও অলৌকিক শক্তি বাঁচাতে পারেনি ওই মহিলাকে। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পলাতক চিকিৎসকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button