National

পুলিশের লাথি বাইকে, মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার

মাথায় হেলমেট ছিল না বাইক চালক ধরমরাজের। তামিলনাড়ুর ত্রিচিতে বাইকে করে স্ত্রী উষাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে বিএইচইএল এলাকায় চলছিল ট্রাফিক চেকিং। ট্রাফিক পুলিশ ধরলেই হেলমেট না পড়ায় দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। সে কথা ভালমতোই বুঝতে পেরেছিলেন বাইক চালক। তাই পুলিশ বাইক থামাতে বললেও ধরমরাজ সে কথা কানে তোলেননি। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বাইকে গতি তুলে তিনি পালাতে যান। পুলিশও নাছোড়বান্দা। চম্পট দেওয়া বাইক ধরতে পিছু ধাওয়া করেন কামরাজ নামে এক ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর। কিছুদূর গিয়ে পলাতক বাইকটিকে নাগালের মধ্যে পেয়েও যান।

অভিযোগ পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করা বাইক থামাতে সজোরে তাতে একটা লাথি কষান কামরাজ। ফলে বাইক থেকে থাঞ্জাভার-ত্রিচি জাতীয় সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। পিছন থেকে আসা গাড়ি সঙ্গে সঙ্গে পিষে দেয় বাইক আরোহী মহিলাকে। যিনি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মাথায় চোট পেয়ে গুরুতরভাবে জখম হন মহিলার স্বামী ধরমরাজ। চোখের সামনে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে দেখে হকচকিয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা। অবস্থা বেগতিক বুঝে ততক্ষণে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরাজ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। ধাওয়া করতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হঠকারিতায় অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দুর্ঘটনার পর অভিযুক্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের গ্রেফতারির দাবিতে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত হয়। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোঁড়া শুরু করে। তার মোকাবিলায় পাল্টা লাঠিচার্জ করা শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রবল বিক্ষোভের জেরে পরে অভিযুক্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরাজকে গ্রেফতার করা হয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *