২০০২ সালে ১ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলায় পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল তাকে। কিন্তু কোত্থাও তার দেখা মেলেনি। আদালত তাকে ফেরার ঘোষণা করেছিল। পুলিশও খুঁজতে খুঁজতে এক সময়ে হাল ছাড়ার উপক্রম হয়। এভাবে কেটে গেছে ১৫টা বছর। কিন্তু কোথাও পুলিশের কাছে এই ব্যর্থতাটা বোধহয় কাঁটার মত বিঁধছিল। তাই তলে তলে খোঁজ বন্ধ করেনি তারা। অবশেষে মিলল সাফল্য।
পুলিশ সূত্রের খবর, পশ্চিম মুম্বইয়ের জুহুতে অভিযুক্তের তিন কামরার ফ্ল্যাটে আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু ফ্ল্যাটে ঢুকতে গেলে তাদের পথ আটকান অভিযুক্তের স্ত্রী। কিছুতেই তিনি পুলিশকে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেবেন না। পুলিশও ঢুকেই ছাড়বে। অবশেষে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হবে বলে ভয় দেখিয়ে পুলিশ ফ্ল্যাটে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু কোত্থাও অভিযুক্তের দেখা নেই। অগত্যা হতাশ হয়ে ফেরার সময়ে এক পুলিশকর্মীর মনে হয় একবার ওয়াশিং মেশিনের ঢাকনাটা খুলে দেখাই যাক।
হয়ত পাওয়া যাবে না, তবুও একবার দেখা যাক গোছের মনোভাব নিয়ে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ঢাকনা সরাতেই স্বপ্নপূরণ। ১৫ বছর ধরে গোটা মুম্বই পুলিশের নাকে দড়ি দিয়ে যে ব্যক্তি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাস্তানাবুদ করেছে, তাকে অবশেষে পাওয়া গেল কিনা তারই ফ্ল্যাটের ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে! পুলিশ তখনই গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। থামে ১৫ বছরের গরু খোঁজা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুলিশ।