National

২জি স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগ, ফিরে দেখা

২০১১ সালে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসাবে সামনে আসে ৩০ হাজার কোটি টাকার ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ ছিল ২০১০ সালে যে স্পেকট্রাম বণ্টন হয় তাতে প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে মোবাইল সংযোগ প্রদানকারী সংস্থাকে এই স্পেকট্রাম পাইয়ে দিয়েছেন। তাদের সামান্য অর্থের বিনিময়ে ২জি স্পেকট্রাম বণ্টন করায় দেশের রাজকোষের ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। অভিযোগ সামনে আসার পর সুপ্রিম কোর্ট এ রাজা কর্তৃক প্রদত্ত সব ২জি লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। শুরু হয় তদন্ত। গ্রেফতার হন এ রাজা। এক বছর জেলে কাটানোর পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। সিবিআই তদন্ত চালাতে থাকে।

এদিকে এর মাঝেই ২জি বণ্টন দুর্নীতিতে জড়িয়ে যায় টেলিকমমন্ত্রকের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক, মোবাইল সংযোগ প্রদানকারী সংস্থা, শিল্পপতি ও শিল্প সংস্থার বড়কর্তাদের নাম। সেইসঙ্গে জড়ায় ডিএমকে নেতা করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝির নাম। সিবিআইয়ের দাবি ছিল বেআইনিভাবে স্পেকট্রাম পাইয়ে দেওয়ায় যে ২০০ কোটির মত টাকা এ রাজা ঘুষ বাবদ পেয়েছিলেন তার অর্ধেক জমা পড়ে তামিলনাড়ুর একটি টিভি চ্যানেলের অ্যাকাউন্টে। যার আবার অর্ধেক শেয়ারের মালিক ছিলেন কানিমোঝি। ফলে কানিমোঝিও এই মামলায় জড়িয়ে যান। মামলা চলতে থাকে। এরমাঝে দিল্লির মসনদে পট পরিবর্ত হয় ২০১৪ সালে। তারও ৩ বছর পর এই রায় সামনে এল এদিন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *