National

নিরামিষ খাও, গোল্ড মেডেল পাও, বিতর্কে বিশ্ববিদ্যালয়

যোগ্যতা নয়, খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস দেখেই পুরস্কৃত করা হবে ছাত্রছাত্রীদের। এমন অদ্ভুত নোটিস দিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল পুনের সাবিত্রী ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থানাধিকারী মেধাবী ছাত্রকে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বর্ণপদক দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। এই পুরস্কার পেতে শিক্ষার্থীকে শুধু পড়াশোনায় ভালো হলেই চলবে না, পদকের দাবিদার ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক গুণাবলী, সমাজজীবন বা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকার দিকটিকেও বিচার-বিবেচনা করে দেখা হয়। অন্যান্য আবশ্যিক শর্তের মধ্যে ২০১৭-র অক্টোবরে অতিরিক্ত ২টি নিয়ম সংযোজন করা হয়েছে। নোটিসের ১০টি শর্তের মধ্যে ৭ নম্বর শর্তটি চোখে পড়ার মত। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

শর্তে বলা হয়েছে, মেডেল প্রাপকের মধ্যে মদ বা তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কোনরকম কুঅভ্যাস থাকবে না। দ্বিতীয়ত, তাঁদের শাকাহারী হতে হবে। এই শর্তের কথা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস ও শিবসেনা। তাদের দাবি শিক্ষাঙ্গনে গেরুয়াকরণের কৌশল এটা। কথায় আছে, আপ রুচি খানা, আর পর রুচি পরনা। কে কী খাবে তা না দেখে শিক্ষার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজর দেওয়া উচিত বলে তাদের মত। বিতর্ক তৈরি হতে পিঠ বাঁচাতে সাফাই দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মহাঋষি কীর্তংকর শিলার মামা গোল্ড মেডেলটি যিনি দিয়ে থাকেন, তিনি এই শর্তগুলি নির্ধারণ করেছেন বলে তাঁদের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে কিছুই করার নেই বলে দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন তাঁরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *