লুকিয়ে দিদির বিয়ের সোনার আংটি বিক্রি করতে দোকানে ভাই, কারণ জেনে চোখ উঠল কপালে
দিদির বিয়ে সামনেই। সেজন্য একটি সোনার আংটি কেনা হয়েছে। সেই আংটিই সবার অলক্ষ্যে লুকিয়ে নিয়ে সোনার দোকানে বিক্রি করতে হাজির হল ভাই।

বাড়িতে বিয়ে নিয়ে বেশ একটা সাজ সাজ রব। তার দিদির বিয়ে। ১৩ বছরের কিশোর দিদির বিয়ের আংটিটা দেখেছিল। এটাও জানত সেটা কোথায় রাখা আছে। সে সেটা সকলের নজর এড়িয়ে হাতিয়ে নেয়। তারপর সেটি লুকিয়ে নিয়ে হাঁটা দেয় একটি সোনার দোকানে।
সোনার দোকানে গিয়ে দোকান মালিককে ওই আংটি দেখিয়ে সেটি বেচার কথা বলে। এক কিশোরের হাতে ওই আংটি দেখে দোকানের মালিক অবাক হয়ে যান। তারপর আংটি ছেড়ে তিনি ওই কিশোরকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন।
এই প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে দোকানি জানতে পারেন ওই কিশোর কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে নয়, স্রেফ ম্যাগি খাওয়ার লোভে দিদির বিয়ের আংটি বিক্রি করতে এসেছে। আংটি বিক্রির টাকা দিয়ে সে একটি ম্যাগি কিনে খাবে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের শাস্ত্রীনগর এলাকার। কিশোরের কাছে গোটা ঘটনা জানার পর দোকানি তার মায়ের ফোন নম্বর নেন। ফোন করেন কিশোরের মাকে। দ্রুত একবার দোকানে আসতে বলেন।
ফোন পেয়ে মা দোকানে পৌঁছলে দোকান মালিক তাঁকে সবকিছু জানান। আংটিটি দেখেই কিশোরের মা চিনতে পারেন। এ তো তাঁর মেয়ের বিয়ের আংটি! আংটি হাতে পেয়ে কিশোরের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দোকান মালিক এটাও জানান যে ওই এলাকার কোনও সোনার দোকানেই এটি বিক্রি হতনা। কারণ তাঁরা কোনও নাবালকের কাছ থেকে সোনার জিনিস কেনার পথে হাঁটেন না।
আপাত দৃষ্টিতে এটা চুরি হলেও এটিকে চুরি বলতে নারাজ সকলেই। কিশোরটি কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে নয়, বরং একটি ম্যাগির খাওয়ার ইচ্ছা থেকেই একাজ করে বসেছে। তবে এটা করা যে তার উচিত নয় এবং তার উচিত ছিল ম্যাগি খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িতে জানানো, সেই শিক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সকলেই।