National

ছেলে মেয়ের বিয়ে পাকা, তার আগেই পালিয়ে বিয়ে করলেন বেয়াই বেয়ান

তাঁদের ছেলে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সেই সূত্রেই আলাপ হয় ছেলের বাবা ও মেয়ের মায়ের। তারপর যা হল তা এককথায় নাটক। গড়াল জুতো ছোঁড়াছুঁড়িতে।

বিয়ের জন্য পাত্রের পরিবার পাত্রীর বাড়িতে যায়। পাত্রীকে পছন্দ করে। আবার পাত্রীর বাড়ির তরফেও পাত্রের বাড়িতে আসা হয়। তারাও পাত্র পছন্দ করে। ২ পক্ষ বিয়েতে রাজি হলে, পাত্র পাত্রী নিজেরা বিয়েতে রাজি হলে তারপর বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়।

২ পরিবারের মধ্যেও একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এটাই চিরাচরিত। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল। আর এই পরিচয়ের সূত্রই পাত্রীর মা দিল্লি নিবাসী ধর্মশীলা দেবী এবং পাত্রের বাবা বিহারের সাসারামের বাসিন্দা দয়াশঙ্কর রামের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে।

বিয়ে স্থির হলেও দিনক্ষণ স্থির হয়নি। এরমধ্যেই বিপত্নীক দয়াশঙ্করের সঙ্গে ধর্মশীলা দেবীর ফোনালাপ শুরু। তারপর দেখা সাক্ষাৎ। আর তারপর ছেলে মেয়ের বিয়ে ফেলে তাঁরা একদিন বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে একটি মন্দিরে বিয়ে করেন। কিন্তু মন্দিরে বিয়ে করলেও আইনি সিলমোহর পড়েনা। তাই তাঁরা হাজির হন রেজিস্ট্রি অফিসে।

এদিকে ২ পরিবার ততক্ষণে জেনে গিয়েছে হবু বেয়াই বেয়ান পালিয়ে বিয়ে করছেন। জানতে পেরে ২ পক্ষের পরিবার একজোট হয়ে হাজির হয় রেজিস্ট্রি অফিসে। তখনও সেখানে বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়নি। তার আগেই তারা হানা দেয়।

তারপর শুরু হয় জুতোপেটা। মূলত মার খান দয়াশঙ্করই। এমন কাণ্ড শুরু হয় যে রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে হুলস্থূল পড়ে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে এসবের জেরে দয়াশঙ্কর ও ধর্মশীলার বিয়েটা আটকে যায়। বাবা মায়ের কাণ্ডে হবু বরকনেও হতবাক। ঘটনাটি এতটাই চাঞ্চল্যকর হয় যে অনেক সংবাদমাধ্যমে খবরটি জায়গা করে নিতে সময় নেয়নি।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *