National

নিজে অপরাধ করে বাঘের ঘাড়ে দোষ চাপাল মহিলা

কাজটা নিজে করল। আর যাতে তাকে কেউ পাকড়াও না করে, সেজন্য দোষটা চাপিয়ে দিল বাঘের ঘাড়ে। যেখানে বাঘের কোনও দোষই নেই।

তাদের গ্রামের কাছে বাঘ এসেছে। বাঘের গর্জন নাকি অনেকে শুনেছেন। দম্পতির বাড়ি আবার গ্রামের এমন একটা ধারে যেখানে খুব কাছেই জঙ্গল। বাঘের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে গ্রামে রটে যাওয়ার পর রাতেই পরিকল্পনাটা করে ফেলে সুপারি বাগানে শ্রমিকের কাজে নিযুক্ত এক মধ্যবয়সী মহিলা।

সে গ্রামে গিয়ে বলে তার স্বামীকে বাঘে টেনে নিয়ে গেছে। তিনি রাতের দিকে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন। আর ঠিক তখনই বাঘের গর্জনও শোনা গিয়েছিল। ফলে তার স্বামী বাঘের পেটে গেছে বলে নিশ্চিত সে।

পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা এটা জানার পর জঙ্গলের মধ্যে তল্লাশি শুরু করেন। সুপারি বাগানে স্ত্রীর মতই শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ৪৫ বছরের ভেঙ্কটস্বামী নামে ওই ব্যক্তিকে যদি বাঘে টেনেও নিয়ে গিয়ে থাকে তাহলেও জঙ্গলে তাঁর কিছু দেহাংশ তো পাওয়া যাবে। কিন্তু এমন কিছুই পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহের তির দিক পরিবর্তন করে।

পুলিশ এবার ভেঙ্কটস্বামীর স্ত্রী সালাপুরিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের প্রশ্নের মুখে একসময় সত্যিটা বলে ফেলে ওই মহিলা। সে জানায়, সুপারি বাগানে কাজ করার সময় সে শুনেছিল কারও যদি বন্যপ্রাণির জন্য প্রাণ যায় তাহলে তাঁর পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার।

সেটা জানার পর যখনই গ্রামের আশপাশে বাঘের আনাগোনার খবর পায়, তখন সে বিষ প্রয়োগ করে স্বামীর প্রাণ কেড়ে নেয়। তারপর স্বামীর দেহ তাদেরই বাড়ির পিছনের খাটালে গোবরের ঢিবির মধ্যে লুকিয়ে দেয়।

বাইরে থেকে কেউ বুঝতেও পারবেননা গোবরের ওই ঢিবির তলায় লুকিয়ে আছে ভেঙ্কটস্বামীর দেহ। নিছক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার লোভে এই পুরো বিষয়টি সাজায় ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের মাইসুরু জেলার চিক্কাহেজুর গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *