বৈদিক যুগের ঘড়ি লাগিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন এই মুখ্যমন্ত্রী
তিনি তাঁর বাসভবনে এমন এক ঘড়ি লাগিয়েছেন যা গোটা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছে। বাড়িতে বৈদিক যুগের ঘড়ি লাগালেন তিনি।

ভারতের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতি নিয়ে সারা বিশ্বেই চর্চা হয়। বৈদিক যুগ তো সারা বিশ্বেই চর্চা ও পড়াশোনার বিষয়। এবার ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চার উৎকর্ষতা কোন পর্যায়ে ছিল তা তুলে ধরতে তাঁর নিজ বাসভবনে বৈদিক ঘড়ি লাগালেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব।
তিনি তাঁর বাড়িতে একটি বিশাল ঘড়ি লাগিয়েছেন। যাকে বলা হচ্ছে বিক্রমাদিত্য বৈদিক ঘড়ি। ভোপালে এই ঘড়ির আবরণও তিনিই উন্মোচন করেন।
এই বৈদিক ঘড়িতে রয়েছে ভারতীয় ক্যালেন্ডার, বিশেষ দিনগুলির সম্বন্ধে তথ্য, গ্রহ নক্ষত্রের কথা, যোগ এবং উৎসব সম্বন্ধে নানা তথ্য। এই ঘড়ি কিন্তু ১টি নয়, ১৮৯টি ভাষায় সমৃদ্ধ।
এখানেই শেষ নয়, এই ঘড়ি তো দেখতে পাওয়া যাবে যাতায়াতের পথে। কিন্তু কেউ যদি যে কোনও স্থান থেকে এই বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত হতে চান সেজন্য একটি মোবাইল অ্যাপও উদ্বোধন করেছেন মোহন যাদব।
এই অ্যাপটি বিক্রমাদিত্য বৈদিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ভারতের ৭ হাজার বছরের ইতিহাসের কথা জানাবে ওই অ্যাপ। পাওয়া যাবে মহাভারতের সময়ের কথাও।
প্রাচীন ভারতে সময়ের পরিকাঠামো কেমন ছিল তা জানাতেও এই ঘড়ি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে। মোহন যাদব বলেন, সাধারণত সকলে ইংরাজি ক্যালেন্ডার মেনেই চলেন। কিন্তু ভারতের যে কোনও উৎসব কিন্তু তিথি মেনে হয়।
সেই তিথিতেই পালিত হয় উৎসব। সেক্ষেত্রে প্রতিবছর ইংরাজি ক্যালেন্ডারে দিন বদলে যায়। কিন্তু তিথি যে সময় থাকে সে সময়ই একমাত্র উৎসবটি পালিত হয়। ভারতের পুরনো সময় নির্ধারণ পদ্ধতিটি সম্বন্ধে সকলকে অবহিত করারও এটা একটা চেষ্টা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা