National

ভারতীয় পোশাক পরায় রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বাধা, রাজধানীর রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারলেননা দম্পতি

ভারতের একটি রেস্তোরাঁয় ভারতীয় পোশাক পরায় ঢুকতে পারলেননা এক দম্পতি। অবিলম্বে রেস্তোরাঁটি বন্ধ করা উচিত বলে মত সকলের।

এক দম্পতিকে একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দিলেন না ওই রেস্তোরাঁর দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার ও বাকি কর্মীরা। দম্পতির একটাই ভুল, তাঁরা ভারতীয় পোশাকে সেখানে ঢুকছিলেন। স্বামীর পরনে ছিল প্যান্ট ও টিশার্ট এবং স্ত্রীর পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ ও ওড়না।

সালোয়ারটিও অত্যন্ত শালীনভাবে পরা হয়েছিল। এমন এক খাঁটি ভারতীয় পোশাকে তাঁরা পৌঁছেছিলেন দিল্লির পিতমপুরা নামে জায়গার একটি রেস্তোরাঁয়।

এমন খাঁটি ভারতীয় পোশাক পরে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন ওই দম্পতি। তাঁরা ওই রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের অভিযোগ ব্যক্ত করেন। যা ক্যামেরাবন্দি করেন আর এক ব্যক্তি।


ক্যামেরায় থাকা ওই ব্যক্তির দাবি, ভারতের বুকে একটি রেস্তোরাঁ ভারতীয় পোশাকে থাকা দম্পতিকেই রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে! এটা ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যায়। ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ কি চাইছে যে তাদের দোকানে কেবল ছোট পোশাকে মহিলারা আসুন? এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

যে রেস্তোরাঁ ভারতের রাজধানীতে বসে ভারতীয় সংস্কৃতির এমন অপমান করে সে রেস্তোরাঁ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিও উঠেছে। বিষয়টি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর বহু মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন।

এমনকি ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে ভারতে দোকান না চালিয়ে বিদেশে দোকান খোলার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। বিষয়টি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনে তাঁর কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পরে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটেছে রেস্তোরাঁটি। দম্পতির ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর রেস্তোরাঁর তরফে রেস্তোরাঁর বাইরে একটি নোটিস ঝোলানো হয়। তাতে স্পষ্ট করে লেখা হয় যে রেস্তোরাঁয় সব ধরনের ভারতীয় পোশাক পরে ঢোকা যাবে। সব ধরনের পোশাকের মধ্যে যে শাড়ী ও সালোয়ারও পড়ছে তাও বিশেষ ভাবে ওই নোটিসে উল্লেখ করা হয়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *