আশ্চর্য রক্ষা, ভেসে গেল পরিবার, পরদিন কেঁদে উঠল ১১ মাসের শিশু
বাবা, মা, ঠাকুমা সকলেই ভেসে গেছেন। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকা ১১ মাসের শিশুর আশ্চর্য রক্ষা এখন স্থানীয় সকলের মুখে মুখে ঘুরছে।

পাহাড়ি এলাকা মানেই বর্ষায় তার রূপ বদলে যাওয়া। ভয়ংকর চেহারা নেয় পাহাড়। টানা বৃষ্টিতে তৈরি হয় হড়পা বান। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি অনেক জনবসতি নিশ্চিহ্ন করে দেয়। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ভেসে যায়, ধ্বংস হয়ে যায় রাস্তা, বাড়িঘর, দোকানপাট।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে এমনই এক ধ্বংসলীলা অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। যে তালিকায় ১৪টি প্রাণ রয়েছে। জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া ৩০ জনের এখনও কোনও খবর নেই। হিসাব বলছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার মত সম্পত্তিরই ক্ষতি হয়েছে।
অনেক রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, ভেসে গিয়েছে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কবলে পড়ে মান্ডি জেলার হাল অত্যন্ত শোচনীয়। অনেক গ্রামেরই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমনই একটি গ্রাম তালওয়ারা। এই তালওয়ারা গ্রামের বাসিন্দা এক পরিবার প্রবল গতিতে তেড়ে আসা জলের মুখে পড়ে।
তারা জলের তোড় থেকে নিজেদের ঘর বাঁচাতে ১১ মাসের শিশুকে ঘরেই শুইয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। বাবা, মা ও ঠাকুমা মিলে জলের তোড়ের মুখ একটু ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যাতে ঘরটা ভেঙে না যায়। কিন্তু জলের তোড় এতটাই ভয়ংকর ছিল যে ৩ জনই সেই জলে ভেসে যান। ঘরে এদিকে সেই শিশু তখন ঘুমিয়ে আছে।
পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা কান্নার আওয়াজ পান। ওই ঘর থেকে ভেসে আসছিল আওয়াজটা। তাঁরা সেখানে পৌঁছে দেখেন একাই সেখানে শুয়ে কাঁদছে ১১ মাসের শিশুটি। জলের তোড় সব নষ্ট করলেও তার কোনও ক্ষতি করেনি।
তবে কাউকে দেখতে না পাওয়ায় এবং খিদের জ্বালায় শিশুটি তখন অস্থির হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীরাই তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে পরিবারের এক আত্মীয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শিশুটির বাবার দেহ উদ্ধার হয়েছে। মা ও ঠাকুমার কোনও খোঁজ নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা