National

জমা জল থেকে লক্ষ টাকা রোজগার, খুলল অভিনব আয়ের পথ

অনেক খনিই একসময় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। অবহেলায় পড়ে থাকায় সেখানে জল জমে যায়। সেই জমা জল যে কর্মসংস্থানের রাস্তা এভাবে খুলে দেবে সেটা ভাবা যায়নি।

খনি থেকে আকরিক তুলে নেওয়ার পর একসময় তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। তখন সেটি পরিত্যক্ত হয়ে অবহেলায় পড়ে থাকে। বৃষ্টির জল জমে বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা খনিতে। সেই জল জমেই থাকে সেখানে।

এই পরিত্যক্ত খনির জমা জল যে অনেক পরিবারের রোজগারের পথ খুলে দেবে সেটা হয়তো ভাবা মুশকিল। কিন্তু সেটাই হয়েছে। পরিত্যক্ত খনিতে জমে থাকা জল এবার ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার অনেক পরিবারের জীবন বদলে দিয়েছে। তারা এখন সেই জল থেকেই রোজগার করছে লক্ষাধিক টাকা। তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। বদলে যাচ্ছে আঞ্চলিক অর্থনীতি।

বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা রামগড় জেলার এই পরিত্যক্ত খনিগুলির ভরে যাওয়া জলে এবার মাছচাষ শুরু করেছেন স্থানীয়রা। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে সেখানে মাছচাষ শুরু হয়েছে। যাকে বলা হয় কেজ ফিশ ফার্মিং।

এখানে এই জমা জলে বিশেষভাবে জাল দেওয়া হয়। তারপর সেখানে শুরু হয় মাছচাষ। কীভাবে এটা করা যায় সেটা স্থানীয় অনেক পরিবারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে শেখানো হয়েছে সরকারের তরফে।

প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের আওতায় এই খনির জমা জলে মাছচাষকে আনা হয়েছে। যা অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কাজ পেয়েছেন বেকার যুবক যুবতীরা।

প্রথমে একটি এমন খনিতেই জাল পাতা হয়েছিল। মাছচাষও হচ্ছিল। এতে সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান যাতে এখানকার সব পরিত্যক্ত খনির জমা জলে এই জাল দিয়ে মাছচাষের বন্দোবস্ত করা হয়।

স্থানীয়দের এই নতুন কর্মসংস্থান প্রদানের সুযোগ করে দিতে এগিয়ে আসে ঝাড়খণ্ড সরকারও। এখন অনেক পরিবার এই খনির জমা জলে মাছচাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এখানকার মাছ ঝাড়খণ্ড তো বটেই, বিক্রি হচ্ছে লাগোয়া বিহারের সাসারাম, গয়া জেলাতেও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *