শুরু হল শতাব্দী প্রাচীন শূলিনী মেলা, কি বিশেষত্ব এই মেলার
প্রাচীন মেলা যে কটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় তার একটি অবশ্যই শূলিনী মেলা। শতাব্দী প্রাচীন এই মেলায় আজও ঢল নামে মানুষের।

মেলার শুরুটা যেমন নজর কাড়া ও ভক্তিপূর্ণ, শেষটাও তাই। মাঝে মেলা চলাকালীন গোটা এলাকা মেতে ওঠে বহু মানুষের সমাগমে। নানা অনুষ্ঠান হয়। অনেক নামীদামী শিল্পীর আগমন হয় অনুষ্ঠান ঘিরে। তার আগে শুরু। সেই শুরুটা হল শুক্রবার।
এখানে রয়েছে মা দুর্গার বাড়ি। সেই বাড়িতে তাঁর বোন এই ৩ দিন থাকতে আসেন। বোনের মন্দির রয়েছে। মা শূলিনী হলেন মা দুর্গার বোন। তিনি দিদি দুর্গার কাছে নিজের মন্দির থেকে বার হয়ে আসেন থাকতে।
৩ দিনের এই থাকা। আর তা ঘিরেই এই কয়েক শত বর্ষ পুরনো মেলা। একটি পালকি চেপে শূলিনী মন্দির থেকে ভক্তদের কাঁধে করে বার হন মা শূলিনী। যাত্রাপথে পুষ্পবৃষ্টি হতে থাকে। হাজার হাজার ভক্তের ভিড় জমে মাকে দর্শন করার জন্য।
শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের সোলান শহরে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখু এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। নিজে মা শূলিনীর পালকি বয়ে নিয়ে যান কিছুটা সময়। পুষ্পবৃষ্টিও করেন।
সোলান শহরে প্রতিবছর এই শূলিনী মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন স্থানীয় মানুষ। কিছুদিন পরেই রথযাত্রা। জগন্নাথদেব মন্দির থেকে বার হয়ে পাড়ি দেবেন মাসির বাড়ি। ৭ দিন সেখানে থেকে ফিরবেন নিজের মন্দিরে।
পুরীর সেই রথযাত্রার কথা সকলেই জানেন। শূলিনী মেলাতেও দেবী দুর্গার বাড়িতে ৩ দিনের জন্য থাকতে আসেন বোন শূলিনী। রথের মেলার মতই সেই আনন্দে মেতে ওঠেন সোলানবাসী। এখানে দূর দূরান্ত থেকেও মানুষ হাজির হন এই মেলায় অংশ নিতে।