National

অ্যাম্বুলেন্সে চেপে কেদারনাথে দ্রুত পৌঁছনোর চেষ্টা, একটা সন্দেহে সব জারিজুরি শেষ

কেদারনাথের পথে ভক্তদের ভিড়ের চাপ যথেষ্ট। সেই ভিড় কাটিয়ে অনেকটা এগিয়ে যেতে কয়েকজন ভক্ত অ্যাম্বুলেন্সে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু একটা সন্দেহে সব জারিজুরি শেষ।

৪ ধামের অন্যতম কেদারনাথ। সেই কেদারনাথে পৌঁছতে গেলে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত গাড়িতে যাওয়া সম্ভব। তারপর থেকে বাকি পথ পাহাড়ে হেঁটেই উঠতে হয়। এখন কেদারনাথ ধাম যাত্রায় ভক্তদের ভিড় যথেষ্ট। ফলে অনেক গাড়ির লাইন রয়েছে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য।

লম্বা গাড়ির লাইন ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত ভক্তদের পৌঁছ দিতে। পুলিশও তৎপরতার সঙ্গে গাড়িগুলিতে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। এরমধ্যেই দেখা যায় ২টি অ্যাম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়ে ভিড় কাটিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

অ্যাম্বুলেন্সের মাথায় যে আলো জ্বলতে থাকে সেটাও জ্বলছে। যেমন অ্যাম্বুলেন্সকে পাশ দেওয়া হয় সেভাবেই পাশ কাটিয়ে অন্য গাড়ির লম্বা লাইন এড়িয়ে ২টি অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল গৌরীকুণ্ডের পথে। কিন্তু কিছুটা এগোতে পুলিশের একটা সন্দেহ হয়।

গৌরীকুণ্ডে কোনও হাসপাতাল নেই। তবে সেখানে কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে নিতে অ্যাম্বুলেন্স যেতেই পারে। কিন্তু পুলিশ দেখে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একাধিক মানুষ রয়েছেন। তাঁরা কি রোগী? যদি রোগী হন তাহলে গৌরীকুণ্ডের দিকে যাচ্ছেন কেন? সেখানে তো হাসপাতালই নেই!

বরং যাবেন তো রুদ্রপ্রয়াগ বা নেহাত সোনপ্রয়াগের দিকে! অন্যদিকে গৌরীকুণ্ডে কেউ অসুস্থ এমন খবরও তাদের কাছে নেই! পুলিশ সন্দেহ হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সের পথ আটকায়। তারপর ভিতরে নজর দিতেই তাদের কাছে সব পরিস্কার হয়ে যায়।

২টি অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরেই কয়েকজন ভক্ত বসে আছেন। তাঁরা কেউই অসুস্থ নন। পুলিশ আসতেই তাঁরা ফাঁক বুঝে ভিড়ের সঙ্গে মিশে যান। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ২ চালককে আটক করে পুলিশ।

চালকরা স্বীকারও করেন ভক্তদের অর্থের বিনিময়ে দ্রুত গৌরীকুণ্ড পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ২ জনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *