স্ত্রীর জন্য মঙ্গলসূত্র কিনতে আসা বৃদ্ধের মন জিতলেন দোকানি, জিতলেন দেশবাসীর মনও
এক ৯৩ বছরের বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীর জন্য মঙ্গলসূত্র কিনতে আসেন দোকানে। বৃদ্ধা স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। দোকানি যা করলেন তা তাঁদের তো বটেই, জিতে নিল দেশবাসীর মনও।

এক ৯৩ বছরের বৃদ্ধ তাঁর বৃদ্ধা স্ত্রীকে একটি মঙ্গলসূত্র উপহার দিতে চেয়েছিলেন। সে যত কম সোনাই থাক না কেন। দেওয়াটাই বড়! পকেটে যে বিশেষ টাকাকড়ি ছিল তা নয়। তবে স্ত্রীকে ভালবেসে উপহারটা যদি ওই টাকায় হয়ে যায় সেই চেষ্টায় প্রথম একটি দোকানে প্রবেশ করেন।
কিন্তু তাঁর কাছে থাকা টাকায় মঙ্গলসূত্র পাওয়া যায়নি। এরপর ৯০ বছর পার করা ২ বৃদ্ধ বৃদ্ধা আরও ২টি দোকানে যান। কিন্তু সেখানেও মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়নি। এরপর তাঁরা যে দোকানে প্রবেশ করেন সেটা আবার ছিল প্রথম যে দোকানে ঢুকেছিলেন সেই দোকানের দ্বিতীয় শাখা।
সেখানে তাঁরা মঙ্গলসূত্র দর করেন। তারপর দোকানিকে জানান, তাঁর কাছে ১ হাজার ১০০ টাকা আছে। সঙ্গে আছে কয়েকটি কয়েন। বৃদ্ধা পাশ থেকে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ হাতরে কয়েকটি ১০ ও ২০ টাকার নোট বার করেন। এটুকুই তাঁদের সম্বল। ওই টাকায় যদি কোনও মঙ্গলসূত্র থাকে তাহলে তা তাঁরা কিনতে চান বলে জানান।
দোকানের মালিক বিষয়টি নজর করে এগিয়ে আসেন। তারপর একটি ৩ হাজার টাকা মূল্যের মঙ্গলসূত্র তাঁদের হাতে তুলে দেন। জানান এর জন্য তিনি কোনও টাকা নেবেন না। কিন্তু বৃদ্ধ বৃদ্ধা নাছোড়। তাঁরা জানান টাকা না দিয়ে এভাবে তাঁরা মঙ্গলসূত্রটি নিতে পারবেননা।
দোকানের মালিক তখন তাঁদের ২ জনের কাছ থেকেই একটি করে ১০ টাকা নেন। জানান এই ২টি ১০ টাকা তাঁর জন্য ওই ৯০ পার বৃদ্ধ বৃদ্ধার আশির্বাদ। বৃদ্ধ বৃদ্ধা সত্যিই অনেক আশির্বাদ করেন। বৃদ্ধের স্ত্রীকে একটি মঙ্গলসূত্র দেওয়ার ইচ্ছা পূরণ হয়।
মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি শম্ভাজি নগরের এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতে সময় নেয়নি। গোপিকা জুয়েলার্স নামে ওই দোকানের মালিকের এই মহানুভবতার কথা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এখনও যে এদেশে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল কিন্তু আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাওয়া বৃদ্ধদের পাশে দাঁড়ানোর মত মানুষ রয়েছেন তা মুগ্ধ করেছে সকলকে।