৪০০টি আপেল গাছ চুরি করে পালাল চোরেরা, অন্য চিন্তায় ঘুম উড়ল কৃষকের
৪০০টি আপেল গাছ। বেশ গায়ে গায়ে লাগানো। সেই গাছ নিয়ে রাতারাতি চম্পট দিল চোরেরা। যাঁর ওই আপেল বাগান তাঁর এখন অন্য চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে।

আপেল চাষিরা আগে নানা প্রজাতির আপেল চাষ করতেন তাঁদের আপেল বাগানে। তবে গত কয়েক বছরে তাঁরা তাঁদের আপেল চাষের ধরণ বদলেছেন। নানা প্রজাতির আপেল গাছ লাগিয়ে চাষ করে যত দিনে চারা গাছ থেকে আপেল হয়, তার চেয়ে অনেক কম সময়ে কাছাকাছি পোঁতা ঘন আপেল বাগানে অনেক বেশি আপেল ফলন হয়।
চারা বপনের পর ২ বছরের মধ্যেই গাছে আপেল ফলতে শুরু করে। এতে মুনাফাও দ্রুত আসে। এক দরিদ্র, হুইলচেয়ারে থাকা কৃষক তাঁর জীবনের শেষ সম্বলটুকু দিয়ে তাঁর আপেল বাগানে আপেল চাষ করার জন্য ঋণ নেন ব্যাঙ্ক থেকে।
১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি আপেল গাছ পুঁতেছিলেন। ফলন হলে ঋণও মিটবে, পরিবারের মুখে হাসিও ফুটবে। এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু তার আগে গাছ লাগানোর পরপরই তাঁর আপেল বাগানে চোরেরা হাজির হল।
রাতারাতি ৪০০টি আপেল গাছের চারা উপরে নিয়ে চম্পট দিল তারা। এক ধাক্কায় ৪০০টি আপেল চারা খুইয়ে এখন মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন ওই দরিদ্র আপেল চাষি। তিনি বুঝেই উঠতে পারছেন না ঋণ শোধ হবে কীভাবে, কীভাবেই বা তাঁর সংসার চলবে!
ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু কাশ্মীরের সোপিয়ানে। সোপিয়ান হল ভারতের এমন এক জেলা যেখানে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের আপেল ফলে। সেই সোপিয়ানের লান্দোরা গ্রামের বাসিন্দা সাজাদ আহমেদ এখন হুইলচেয়ারে বসে বুঝেই উঠতে পারছেন না কীভাবে এই ধাক্কা সামাল দেবেন।
সোপিয়ানে অবশ্য আপেল চারা চুরির ঘটনা প্রথম নয়। এখানে একটি চোরদের দল মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন আপেল বাগানে ঢুকে আপেল চারা চুরি করছে। প্রসঙ্গত কাশ্মীরে এই বিশেষ প্রজাতির দ্রুত ফলনশীল আপেল চারার দাম ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা করে পড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা