২২০ জন যাত্রী নিয়ে বিপদে পড়া ভারতীয় বিমানকে তাদের আকাশে ঢুকতে দিল না পাকিস্তান
২২০ জন যাত্রীর জীবন সংশয় জেনে পাকিস্তানের আকাশে সামান্য সময়ের জন্য ঢুকতে চেয়েছিলেন ইন্ডিগোর পাইলট। সেটাও ঢুকতে দিল না লাহোর এটিসি।

দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর একটি যাত্রীবাহী বিমান ২২০ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল। কিন্তু পাঠানকোটের কাছে আচমকাই সেটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। প্রবল ঝড়, শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে বিমানটি। বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে।
পাইলট বুঝতে পারেন বিপদে পড়েছে বিমানটি। এতজন যাত্রীর জীবন রক্ষা করতে তিনি ওই দুর্যোগ পরিস্থিতির বাইরে বিমানটিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে বিমানটিকে পাকিস্তানের আকাশে কিছুক্ষণ ওড়াতে হবে। তবেই এই দুর্যোগ এড়ানো সম্ভব।
তাই তিনি দ্রুত লাহোর এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে পাক আকাশে বিমানটিকে কিছুক্ষণের জন্য ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি চান। এতজন মানুষের জীবন সংশয় জেনেও মানবিকতার তোয়াক্কা না করে পাকিস্তান তাদের আকাশে ইন্ডিগোর ওই বিমানটিকে ঢুকতে দিতে রাজি হয়নি।
পাক আকাশে কিছুটা ঢুকতে পারলেই দুর্যোগ এড়িয়ে এতজন যাত্রীকে নিশ্চিন্ত করতে পারতেন পাইলট। তা না হওয়ায় তাঁকে বাধ্য হয়েই ওই দুর্যোগের মধ্যে বিমানটিকে শ্রীনগরে অবতরণের লড়াই চালাতে হয়।
বিমানটি একসময় এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল যে সেটি প্রতি মিনিটে সাড়ে ৮ হাজার ফুট করে নিচে নেমে আসছিল। যা সাধারণত খুব বেশি হলে ৩ হাজার ফুট হয়ে থাকে।
এই অবস্থায় পাইলট একবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি দিল্লিতে ফেরত আসবেন। কিন্তু ওই প্রবল দুর্যোগের মধ্যে বিমানটির মুখ ঘুরিয়ে তাকে দিল্লি আনা সঠিক নয় বলেই মনে করেন পাইলট। তাই তিনি ওই দুর্যোগের মধ্যেই এগোতে বাধ্য হন।
ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যতটা সম্ভব ছোট পথে শ্রীনগর পৌঁছনোর চেষ্টা করতে থাকেন পাইলট। অবশেষে শ্রীনগরে তিনি অবতরণ করেন। ততক্ষণে বিমানের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব কিছুই হতনা যদি পাকিস্তান সামান্য সময়ের জন্যও মানবিকতার কথা মাথায় রেখে তাদের আকাশ ব্যবহার করতে দিত। তবে বিমানটি শ্রীনগরে নিশ্চিন্তে অবতরণ করতে পারার পর সকলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। যাত্রীদের চরম আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হলেও তাঁদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। জানিয়েছে ডিজিসিএ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা