পহেলগামের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ সন্ত্রাসবাদীর স্কেচ প্রকাশ করল সুরক্ষাবাহিনী
পহেলগামের নারকীয় ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। এরমধ্যেই ৩ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীর স্কেচ প্রকাশ করল সুরক্ষা বাহিনী। তল্লাশি অভিযান চলছে জোরকদমে।

সাধারণ পর্যটকদের ঘিরে ধরে গুলিবর্ষণের মত কাপুরুষোচিত নারকীয় ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের মধ্যে ৩ জনের স্কেচ প্রকাশ করল সুরক্ষাবাহিনী। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষজন ঘটনার প্রতিবাদে সরব। এই খবর পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌদি সফরে কাটছাঁট করে দ্রুত দেশে ফেরার কথা জানিয়ে দেন।
পাইন গাছের বনের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। তারপর নিরীহ পর্যটকদের ঘিরে ধরে একে-৪৭ থেকে শুরু হয় গুলিবর্ষণ। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে লুটিয়ে পড়েন মানুষজন।
২৬ জনের প্রাণ যায় এই ঘটনায়। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা-র একটি শাখা সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। সুরক্ষাবাহিনী জানাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ জন কুর্তা পাজামা পরে এসে এই নারকীয় ঘটনা ঘটায়।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মনে করছে, লস্কর-ই-তৈবা-র কমান্ডার খালিদ এই ঘটনার মূল চক্রী। সন্ত্রাসবাদীরা ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে কাছের ঘন জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে বলেই মনে করছে সুরক্ষাবাহিনী।
এজন্য জোরকদমে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের জঙ্গলের মধ্যে চিহ্নিত করতে হেলিকপ্টার কাজে লাগানো হচ্ছে। যাঁরা ওই নারকীয় ঘটনায় রক্ষা পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর এটা মনে করা হচ্ছে যে সন্ত্রাসবাদীরা আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জাম ও অস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
ঘটনার তদন্তে নেমে এটাও সুরক্ষাবাহিনী জানতে পেরেছে যে ওই সন্ত্রাসবাদীরা গুলিচালনার সময় মাথায় পরা হেলমেট ও পোশাকে ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছিল। যা এই ঘটনার পুরো রেকর্ডিংটা করে।
ঘটনার আগে পহেলগাম জুড়ে এরা রেইকিও করে। যে রেইকিতে তাদের সাহায্য করেছিল কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলে মনে করছে সুরক্ষাবাহিনী। এই ঘটনায় প্রাণ যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন রয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা