শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষার আগামী হাতিয়ার হতে চলেছে মাছের গুঁড়ো
শিশুদের স্বাস্থ্যরক্ষা করা এক অন্যতম কর্তব্য। যা নিয়ে সরকারও সচেতন থাকে। সেই শিশু স্বাস্থ্য রক্ষায় আগামী দিনে অভিনব হাতিয়ার হতে চলেছে মাছের গুঁড়ো।
ভারতে ৫ বছরের নিচে থাকা ৫০ শতাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার। গত জুনের হিসাব বলছে ৬ বছরের কম বয়সী ১৭ শতাংশ শিশুর স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম, ৩৬ শতাংশ শিশু সঠিকভাবে বাড়ছে না। এই চিত্র দেশের শিশু স্বাস্থ্যের যে পরিস্থিতি তুলে ধরছে তা কাম্য নয়।
এজন্য অসমের কামরূপ জেলায় সরকারের তরফে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। যা কার্যত ছিল একটি পাইলট প্রোজেক্ট। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা-র অন্তর্গত সেই পাইলট প্রকল্পের হাত ধরে আগামী দিনে হয়তো দেশে মাছের গুঁড়ো শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে সরকারের জন্য।
কারণ ওই প্রকল্পে কামরূপ জেলার শিশুদের মাছের গুঁড়ো বা ফিশ পাউডার দিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। মাছের গুঁড়ো তৈরি হয় মাছ শুকিয়ে। শুকনো মাছকে গুঁড়ো করে যে মাছের গুঁড়ো তৈরি হয় তা দিয়ে দেশের শিশুদের মধ্যে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব পূরণ করা সম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
মাছের গুঁড়োর মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজ। যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি।
শুধু শিশু বলেই নয়, গর্ভবতী মহিলা এবং বৃদ্ধদের জন্য মাছের গুঁড়ো এক পুষ্টিকর খাবার। মাছের গুঁড়ো যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনই সাশ্রয়ী। ফলে দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্যই মাছের গুঁড়ো একটি সার্বিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় খাবার।
তবে সরকার আপাতত দেশের শিশুদের মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি দূর করতে এবং অপুষ্টি জনিত সমস্যা মেটাতে মাছের গুঁড়োকে পাখির চোখ করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা