National

পাহাড়ি হলুদের গায়ে নতুন তকমা, স্বপ্নে বিভোর কিছু মানুষ

পাহাড়ি এ হলুদ ভরসা ছিল এতদিন। এবার তা বড় ভরসা হয়ে গেল। সৌজন্যে এক বিশেষ তকমা গায়ে বসে যাওয়া।

হলুদ যেমন রান্নার অন্যতম উপকরণ, তেমন হলুদের আরও নানা গুণ রয়েছে। যার অধিকাংশই ওষধিগুণ। কার্যত সারা বিশ্বই জানে হলুদের গুণের কথা। সেই হলুদ আবার নানা ধরনের হয়। তারই একটি জয়ন্তিয়া পাহাড়ের হলুদ। এই পাহাড়ে যে হলুদ হয় তাকে স্থানীয়রা বলেন লাকাডং হলুদ।

এ হলুদ সামান্য হলেও আলাদা। এই বিশেষ ধরনের হলুদ কেবল এই জয়ন্তিয়া পাহাড়েই পাওয়া যায়। মেঘালয়ের জয়ন্তিয়ার আশপাশে যাঁরা বসবাস করেন তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষের পেশা হল এই হলুদ চাষ।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

পাহাড়ি এই হলুদ চাষ করলেও তাঁরা এতদিন যে খুব একটা রোজগারের মুখ দেখতে পেতেন তা নয়। কিন্তু এবার তাঁরা হাল ফেরার আশায় দিন গুনছেন। এর পিছনে রয়েছে এই জয়ন্তিয়ার লাকাডং হলুদের গায়ে লাগা জিআই ট্যাগ।

এই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ গায়ে লাগা মানে এই হলুদের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেল। এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। আর তা যদি হয় তাহলে আগামী দিনে এই হলুদ চাষে অর্থাগমের সম্ভাবনাও বাড়বে বলে মনে করছেন এই মানুষগুলো।

জয়ন্তিয়া পাহাড় এলাকার ১ হাজার ৭৫৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে এই হলুদের চাষ হয়। এই লাকাডং হলুদ কোনও পরিচর্যা ছাড়াই উৎপন্ন হয়।

এই হলুদের রং হয় বেশ গাঢ়। সাধারণভাবে যে হলুদ দেখতে পাওয়া যায় লাকাডং হলুদ তার চেয়ে কিছুটা কালচে হয়। স্থানীয় ৪৩টি গ্রামের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ এই লাকাডং হলুদ চাষের সঙ্গে যুক্ত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *