National

হাতে লঙ্কাগুঁড়ো নিয়ে সীমানায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৫ গ্রামের মানুষজন

শুনতে অবাক লাগতেই পারে। কিন্তু এটাই হচ্ছে। হাতে লঙ্কাগুঁড়ো নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের গ্রামবাসী। অবশ্য তার কারণও রয়েছে।

তাঁদের গ্রাম একদম সীমানায়। ২ দেশের সীমানা ঘন জঙ্গলে ভরা। পাশের দেশ থেকে যখন তখন ঢুকে পড়ে হাতির পাল। শুরু হয় হাতির তাণ্ডব। গ্রামবাসীরাও মুখ বুজে থাকেন না। তাঁদের কষ্টের ফসল নষ্ট করবে পাশের দেশের হাতি, তাঁদের বাড়ির তছনছ করবে, এটাতো চুপ করে মেনে নেওয়া যায়না। তাই তাঁরাও চড়াও হন।

হাতির সঙ্গে মানুষের এক লড়াই এখানে প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। তাতে হাতিরা কখনও পালায়। আবার কখনও প্রাণও কেড়ে নেয়। বাড়িঘর, ফসল বাঁচাতে গ্রামবাসীদের তাড়ার পাল্টা জবাব দিতে হাতিরাও অনেক সময় নাগালের মধ্যে মানুষকে পেলে মেরে ফেলে। জখম করে।

মানুষের সঙ্গে হাতির এই লড়াই সম্বন্ধে প্রশাসনের কাছেও সব খবর রয়েছে। তাই এবার ভারত নেপাল সীমান্ত পার করে নেপাল থেকে ভারতে ঢুকে পড়া হাতিদের গ্রামবাসীদের বাড়িঘর ও ফসল থেকে কীভাবে দূরে রাখা যায় তার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সেখানেই এখন গ্রামবাসীদের মূল হাতিয়ার লঙ্কাগুঁড়ো।

উত্তরপ্রদেশের দুধওয়া টাইগার রিজার্ভের কাতারনিয়াঘাট ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারিতে থাকা সীমান্ত লাগোয়া কম করে ৫টি গ্রাম সবচেয়ে বেশি হাতির হানায় ব্যতিব্যস্ত।


কলকাতার একটি এনজিও ওই গ্রামগুলির বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কীভাবে হাতিদের আচরণ বুঝতে হবে। কীভাবে তাদের ঠেকাতে হবে। কীভাবে লঙ্কাগুঁড়ো কাজে লাগিয়ে হাতিদের দূরে রাখা যায় ইত্যাদি।

এছাড়া সীমান্তে বাঘমিত্র নামে কিছু মানুষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে নজরদারির জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁদের ওই গ্রামগুলি থেকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে।

তাঁদের কাজ হচ্ছে ভারত নেপাল সীমান্তে টহল দেওয়া। হাতিদের দিকে নজর রাখা। হাতির পাল নেপাল থেকে ঢোকার চেষ্টা করলে তার খবর বন দফতরকে দেওয়া। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button